ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাঁকুড়ার দামোদর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা আপাতত কমলেও বাঁকুড়ায় চিন্তা বাড়াচ্ছে দারকেশ্বর নদ। বুধবারও বাঁকুড়া জেলা জুড়ে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় দারকেশ্বর নদের জলস্তরের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবারও এই নদের উপর থাকা তিনটি সেতু জলের তলায় থাকায় যাতায়াত বন্ধ ছিল। এ দিকে টানা বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া জেলার জনজীবন। দারকেশ্বর নদের জলে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া মীনাপুর, ভাদুল ও কেঞ্জাকুড়া গ্রাম লাগোয়া ভেলাইডিহা সেতু ডুবে থাকায় বুধবারও ওই সেতুগুলি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। ফলে ওই তিনটি সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের মানুষ চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনায় জেলার সোনামুখী, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের ব্লকের নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই আশঙ্কা আপাতত কেটেছে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে সোনামুখী ব্লকের নিচু এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ ও পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪৪০টি কাঁচা বাড়ি। আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৯৬৪টি কাঁচা বাড়ি। বাঁকুড়ার জেলা শাসক এন সিয়াদ বলেন, ‘‘বাঁকুড়া জেলায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা প্রতিরোধে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’’