প্রস্তুতি: পরীক্ষা শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে। কীর্ণাহারে। নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলছুট রোখা যায়নি। অনেকেই অ্যাডমিট তোলেনি। শনিবার থেকে শুরু হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও স্কুলছুট কতটা রোখা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শিক্ষা দফতরে।
তবে, প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা অনেকটাই স্বস্তি দিল শিক্ষক মহলকে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর জেলায় মোট ২৭ হাজার ৮২৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৪১৬ এবং ছাত্রী ১৫ হাজার ৪১২ জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৫। তার মধ্যে ৪৯টি মেন সেন্টার ও ২০৬টি হোম সেন্টার রয়েছে। জেলার স্কুলগুলিতে এ দিন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা বলে জানাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অংশ। তাঁদের মতে, ২০২০ সালে লকডাউনের কারণে কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। ২০২১-এ পরীক্ষাই হয়নি। সারা বছর অনলাইনে ক্লাস হলেও এ বার অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, পরীক্ষার্থীরা সকলেই পরীক্ষায় বসবে কি না, সেটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম দিনের হিসেব বলছে, অনুপস্থিতি খুবই কম।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোলপুর লাগোয়া বিনুরিয়া সুমিত্রা বালিকা বিদ্যালয়ে ১২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিল কেবল ৮৫ জন। ৩৫ জন পরীক্ষাতেই বসেনি। সেই স্কুলে এ বার ৮৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন বাদে সকলেই পরক্ষা দিয়েছে। বাহিরি ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩ জন অনুপস্থিত। সিউড়ি করিধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিশনেও ছবিটা এক। শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে একাধিক পদক্ষেপ করায় সেখানে এ বার ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পরীক্ষা দিয়েছে।
মোটের উপর জেলায় ৯৬-৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল এ দিন। স্বাভাবিক পরীক্ষার বছরগুলিতেও উপস্থিতির হার এ রকমই থাকে বলে দাবি করেছে স্কুলগুলি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক অভিজিৎ নন্দন বলেন, “মাধ্যমিকের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা যথেষ্টই ভাল। আমাদের আশা, পরীক্ষার বাকি দিনগুলিতেও উপস্থিতি এমনই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy