মনোনয়ন জমা দিলেন হৃদয় ঘোষ (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। বুধবার বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র abpbabubiswajit@gmail.com
এক সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের বাসিন্দা হৃদয় ঘোষ। এমনকি, তাঁর বাবার হত্যার জন্য তিনি সরাসরি অনুব্রতকেই দায়ী করেছিলেন। যদিও পরে সেই অনুব্রতের ‘শরণে’ গিয়েই তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। এ বারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বেন হৃদয়। কসবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা করেন হৃদয়। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে জেলায় তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পাড়ুই। কারণ, সেখানে তৃণমূলের একটি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সে বার পাড়ুই থেকে নির্দল থেকে প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছিলেন অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত হৃদয়। সেই সময়েই একটি প্রকাশ্য সভা থেকে অনুব্রত পুলিশকে বোম মারার নিদান দেন। এমনকি, নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। এর পরই খুন হতে হয় হৃদয় ঘোষের বৃদ্ধ বাবা সাগর ঘোষকে। খুনে অভিযুক্তদের তালিকাতেও ওঠে অনুব্রতের নাম। যা নিয়ে সেই সময় অনুব্রত সঙ্গে হৃদয় ঘোষের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে।
বেশ কয়েক বছর মামলা চলার পরে অনুব্রতর হাত ধরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন হৃদয়। ধীরে ধীরে অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনুব্রত ‘ছত্রছায়ায়’ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন হৃদয়। তাঁকে বোলপুর শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষও করা হয়।
এ বারও সেই হৃদয়ের উপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল। মনোনয়ন জমা দিয়ে হৃদয় বলেন, ‘‘দল আমার প্রতি আস্থা রেখে আবার আমাকে টিকিট দেওয়া আমি খুশি।’’ গত বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন। এ বার কী হবে? হৃদয় বলেন, ‘‘মানুষের হয়ে কাজ করেছি পাঁচ বছর। আশা করি মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy