Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Healthcare

Health centre: স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হেলমেট পরে কাজ কর্মীর

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারগুলি দীর্ঘদিন আগেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেগুলি এখন অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হেলমেট মাথায়।

হেলমেট মাথায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাভপুর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ০৬:৪০
Share: Save:

কোথাও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। কোথাও বা ছাদের কংক্রিটের চাঙড় ছেড়ে ছেড়ে পড়ছে। অথচ পুনর্নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ। এর ফলে মাথা বাঁচাতে হেলমেট মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে লাভপুরের বিপ্রটিকুরী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের।

স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালে স্থাপিত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র এক সময় এলাকার ১৫-২০টি গ্রামের বাসিন্দাদের আশা ভরসার জায়গা ছিল। প্রসব, সাপে কাটা, কিংবা কীটনাশক খেয়ে নেওয়া রোগীর চিকিৎসা থেকে একাধিক রোগের পরিষেবা মিলত। বর্তমানে সেই পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, বছর আটেক ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কোনও ডাক্তার নেই। নেই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী এবং সাফাইকর্মী। থাকার মধ্যে রয়েছেন এক জন ফার্মাসিস্ট এবং দু'জন নার্স। তাঁরাই এত দিন জোড়াতালি দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা টিকিয়ে রেখেছিলেন।

কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশার কারণে সেই পরিষেবাও শিকেয় উঠতে বসেছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারগুলি দীর্ঘদিন আগেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেগুলি এখন অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। অন্যান্য বাড়িরগুলির অবস্থাও তথৈবচ। আউটডোর এবং স্টোররুমের ছাদের ফাটল চুঁইয়ে জল পড়ে। মাঝেমধ্যেই চাঙড় খসে পড়ে। নার্স দোয়েল মণ্ডল, রিনা রজক বলেন, ‘‘ছাদের চুঁইয়ে পড়া জলে প্রায়ই ওষুধপত্র সহ ডাক্তারি সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। কাজ করার সময় ঝুঁকিও থাকে।’’ ফার্মাসিস্ট পিন্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যেই ছাদ থেকে চাঙড় পড়ে। তাই মাথা বাঁচাতে সব সময় হেলমেট পড়ে থাকি।’’ তাঁদের দাবি, মাস ছয়েক আগে পূর্ত দফতরের কর্তারা দেখে যাওয়ার পরও অবস্থার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা তারক সরকার, শংকর হাজরারা জানিয়েছেন, বেহাল দশার কারণে বিপদের আশঙ্কায় তাঁদেরও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতেই ভয় করে। লাভপুর ব্লক স্বাস্থ্য় আদিকারিক (বিএমওএইচ) তহসিন মাকসুদ জানান, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন, ডাক্তার-সহ অন্যান্য শূন্যপদ পূরণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।’’ স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Healthcare Staff labhpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy