Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Kala Azar Survey

কালাজ্বর খুঁজতে জেলার ছ’টি ব্লকে সমীক্ষা

গত ১ মে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বাবুরাম হাঁসদা নামে এক আদিবাসী যুবকের।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 
রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১০:০০
Share: Save:

কালাজ্বর রোগীর সন্ধানে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৬টি ব্লককে চিহ্নিত করল স্বাস্থ্য দফতর। আগামী ৬ অগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে কালাজ্বর রোগীর সন্ধানে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। ব্যতিক্রম নয় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলাও।

এই স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায় জানান, স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮টি ব্লকের মধ্যে ময়ূরেশ্বর ২ এবং নলহাটি ২ ব্লক বাদ দিয়ে বাকি ৬টি ব্লক মুরারই ১, মুরারই ২, নলহাটি ১, রামপুরহাট ১, রামপুরহাট ২ এবং ময়ূরেশ্বর ১-এ সমীক্ষার কাজ করা হবে। এর জন্য ব্লক স্তরে চিকিৎসক, নার্সিং কর্মী, ল্যাব টেকনিশিয়ানদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই সমস্ত ব্লকের কালাজ্বর আক্রান্ত রোগীর সন্ধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১ মে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বাবুরাম হাঁসদা নামে এক আদিবাসী যুবকের। মুরারই থানার ঢুরিয়া গ্রামের কাপারপাড়ার বাসিন্দা ৩৬ বছরের ওই যুবকের মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। বাবুরামের মৃত্যু ঘিরে সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বৈঠকও করেন। বৈঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, ডাইরেক্টর অফ পাবলিক হেলথ অসিত বিশ্বাস-সহ রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায়, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য দফতরের অন্যান্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ওই বৈঠকে কালাজ্বরে মৃত্যু নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

মে মাসে জেলায় কালাজ্বর রোগীর মৃত্যুর পরে জুন মাসে মুরারই, নলহাটি এবং রামপুরহাট ১-এর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হয়। এ ছাড়া রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে কালাজ্বর রোগী চিহ্নিতকরণের জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয় স্বাস্থ্য জেলার তরফে।

প্রকাশ রায় বলেন, “রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ৮ টি ব্লকই কালাজ্বরপ্রবণ এলাকা। এই সমস্ত এলাকায় নিয়মিত কালাজ্বরের পরীক্ষা করা হয়। এ বছরে এখনও পর্যন্ত দু’জন কালাজ্বরের রোগী পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর অন্য একজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যেহেতু কালাজ্বর আক্রান্ত রোগী খুব কম সংখ্যায় মেলে সেই কারণে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের অনেক সময় এই রোগের কথা মাথায় থাকে না। এর জন্য কালাজ্বরের লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বারবার সচেতন এবং সতর্ক করা হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Rampurhat Health Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE