Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Murarai

চাঙড় খসল বুঝি, চিকিৎসা ভয় নিয়েই

লকডাউন চললেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে নানা ক্ষেত্রে। ধীরে ধীরে বাড়ছে রাস্তাঘােট যাতায়াত। জনজীবন ছন্দে ফেরার মুখে ঠিক কী পরিস্থিতি জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। খোঁজ নিল আনন্দবাজারলকডাউন চললেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে নানা ক্ষেত্রে। ধীরে ধীরে বাড়ছে রাস্তাঘােট যাতায়াত। জনজীবন ছন্দে ফেরার মুখে ঠিক কী পরিস্থিতি জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। খোঁজ নিল আনন্দবাজার

ভীমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

ভীমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

তন্ময় দত্ত
মুরারই শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০৩:০৬
Share: Save:

ব্লক হোক বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরিকাঠামোর নিরিখে ধুঁকছে মুরারই বিধানসভা এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। জাজিগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবারই গাছ চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। এ দিন সকালে গ্রামবাসী কয়েকটি গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পাইকর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের পরে আর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় কর্মীদের বাসস্থান থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনের কংক্রিটের চাঙর ভেঙে পড়ছে। কর্মীদের বাসস্থানের একটিও দরজা, জানালা নেই। সব চুরি হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে যে সমস্ত গাছ আছে, সেগুলিও এক এক করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। বিএমওএইচের এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেও মেরামতি বা গাছের রক্ষণাবেক্ষণ কিছুই হয়নি বলেও অভিযোগ।

কাঠিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় পরে থাকছে মদের বোতল। রাতের অন্ধকরের পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায়। এই বিষয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ও বিধায়কের কাছে
অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নাজরিন সুলতানার অবশ্য দাবি, ‘‘আগের থেকে অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আগে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা থাকলেও এখনও কাউকে দেখা যায় না।’’ অনেকেই জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চার পাশে পাঁচিল থাকলে আর এই সমস্যা হত না।

ভীমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবার ভবনের কংক্রিটের চাঙর মাথায় পড়ার আশঙ্কা নিয়েই চিকিৎসা করাতে যেতে হয়। রোগীর পরিজনেরা বলছেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব মেরামতির কাজ শুরু করা না হলে শুধু রোগী নন, স্বাস্থ্যকর্মীরাও যে কোনও দিন দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারেন।’’

মুরারই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবার স্তূপীকৃত হয়ে থাকে আবর্জনার স্তুপ। এই হাসপাতালে শুধু এলাকার মানুষজন নন, ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেক গরিব ও দুঃস্থ মানুষজন চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু, হাসপাতালের মধ্যে এমনকি রোগীর
বিছানার তলায় কুকুর-ছাগল ঘুরতে দেখা যায়। আর পরিত্যক্ত ঘরগুলি নানা অসামাজিক কাজের আড্ডাখানা বলে অভিযোগ।

মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘জাজিগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গাছ চুরির বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাঠিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসামাজিক কাজের বিষয়টি নিয়েও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভবনগুলির মেরামতি ও পাঁচিল দেওয়া নিয়ে জেলার সঙ্গে কথা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Murarai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy