মহড়া: রাজ্যপালের সফরের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব বা মাঘ মেলা উদ্বোধনে আজ, বৃহস্পতিবার আসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার আগে কার্যত ‘নজিরবিহীন’ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণকে।
শ্রীনিকেতনের ৯৮তম বার্ষিক উৎসব শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই উৎসবের আরেক নাম শ্রীনিকেতন মেলা বা মাঘ মেলা। রাজ্যপালের সঙ্গেই এ বছর মাঘ মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব অমিত খারে ও বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
কোনও বারই এই মেলায় তেমনভাবে নিরাপত্তার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এ বছর যেহেতু রাজ্যপাল মেলার উদ্বোধন করবেন, তাই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণকেও। প্রশাসন সূত্রে খবর, এর আগে বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যপালকে যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে সে কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁর সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার থেকেই আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজ্যপালের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে সিসি ক্যামেরা দিয়েও নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন।
১৯২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি। তারপর তৈরি হয় শ্রীনিকেতন। এর পরের বছর ১৯২৩-এর ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব শুরু হয়। সেই থেকে শ্রীনিকেতনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব হয়ে আসছে, যা শ্রীনিকেতন মেলা বা মাঘ মেলা নামে পরিচিত। এ বারও চিরাচরিত প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার ভোরে বৈতালিক ও সানাইয়ের মধ্য দিয়ে শ্রীনিকেতনের বার্ষিক অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। সকাল ৯টা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পল্লী শিক্ষাভবনের মাঠে কপ্টারে নামবেন রাজ্যপাল। এরপর সেখান থেকে তিনি গাড়িতে সোজা চলে যাবেন শ্রীনিকেতনের মাঘ মেলার অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেখান থেকেই ৯৮তম শ্রীনিকেতন বার্ষিক উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি। তারপর স্বাগত বক্তব্য রেখে তিনি রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পল্লী শিক্ষা ভবনের মাঠে করা হয়েছে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড। এ দিন সকালে পল্লী শিক্ষা ভবনের মাঠে কপ্টার নামার মহড়াও দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে ১০০টিরও বেশি দোকান বসেছে মেলা প্রাঙ্গণে। এই মেলায় মূল আকর্ষণ থাকে কৃষি ও শিল্পের প্রদর্শনীতে। এ ছাড়াও এই উৎসবের অন্য অঙ্গগুলি হল ব্রতী বালকদের খেলাধুলো, শিশু প্রদর্শনী, লোকসঙ্গীত, বাউল গান থেকে শুরু করে কবি গান, যাত্রা গান প্রভৃতি। জেলার বিভিন্ন কুটির শিল্পজাত সামগ্রী সম্ভারও দেখা যায় এই মেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy