সরগরম: দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে নিতুড়িয়া ব্লকের ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সর্বজনীনের পুজোর মণ্ডপ। ছবি: সঙ্গীত নাগ
কয়েক বছর আগেও ছবিটা ছিল অন্য রকমের। ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেও মণ্ডপ সাজানো শেষ হত না। দেখা যেত, এক দিকে চলছে আলো লাগানো অন্য দিকে বোধন। পুরোদস্তুর উৎসব শুরু হতে হতে সপ্তমীর সকাল হয়ে যেত। বেশ কয়েক বছর হল রঘুনাথপুরের সেই চিত্র একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। এ বার যেমন চতুর্থীতেই পুজো শুরু হয়ে গেল নিতুড়িয়ার একটি সর্বজনীনের। মহকুমা এলাকার অন্য বড় পুজোগুলির উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, তাঁরাও পঞ্চমীতেই উদ্বোধন সেরে ফেলেছেন।
কলকাতার অনেক পুজোর উদ্বোধন আগেভাগে হয়ে যায়। মূলত সে কথা মাথায় রেখেই তাঁরা এগোচ্ছেন বলে জানান রঘুনাথপুর এলাকার কিছু পুজো উদ্যোক্তা। কয়লাখনি অঞ্চল নিতুড়িয়ায় কয়েকটি বড় বাজেটের পুজো হয়। থিমভিত্তিক মণ্ডপ গড়ে দর্শক টানার অলিখিত প্রতিযোগিতা চলে। পুলিশের হিসেবে, গত কয়েক বছরে নিতুড়িয়ার বড় পুজোগুলিতে পাঁচ দিনে ভিড় জমিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ।
বুধবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় উদ্বোধন হয়েছে নিতুড়িয়ার ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সর্বজনীনের পুজোর। উদ্বোধন করেছেন বলিউডের অভিনেত্রী জুহি চাওলা। এ বার বাথানেশ্বরের পুজোর থিম ‘দখিনা হাওয়া’। পুজো কমিটির সম্পাদক হিরালাল মাজি বলেন, ‘‘দক্ষিণ ভারতের মন্দির-স্থাপত্যকে তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমায়।” উদ্বোধনের দিনে মণ্ডপে বেজেছে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরে পুজোর সময়ের মন্ত্রপাঠ। ছিল দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান।
অন্য দিকে, নিতুড়িয়ার আরও দু’টি বড় পুজো দুবেশ্বরী সর্বজনীন ও সড়বড়ি সর্বজনীনের উদ্বোধন হল পঞ্চমীতে। দুবেশ্বরীর মণ্ডপ হয়েছে রাজস্থানের লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরের আদলে। প্রতিমায় আছে চমক। গড়া হয়েছে আনাজ ও ফলের বীজ দিয়ে। পিছিয়ে নেই রঘুনাথপুর, আদ্রা, সাঁওতালডিহির মতো এলাকাও। সেখানকার বড় পুজোগুলিও উদ্বোধন সেরে ফেলছে পঞ্চমীতেই। আদ্রার বাঙ্গালী সমিতির এ বার শতবর্ষ। সেই পুজোর উদ্বোধন হল পঞ্চমীতে। বাঙ্গালী সমিতির থিম ‘শঙ্খ ও প্রদীপের মাধ্যমে মায়ের আগমনি’।
সাঁওতালডিহির অফিসার্স ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন হয়েছে পঞ্চমীতে। পুজোর সম্পাদক সায়র ঘোষ জানান, এ বার তাঁদের থিম ‘মাটির টানে মাটির খোঁজে’। রাঢ় বাংলার হস্ত ও লোকশিল্পকে তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপে ও প্রতিমায়। তিনি জানাচ্ছেন, মণ্ডপে থাকছে বাঁশের কাজ, পটশিল্প প্রভৃতির কাজ। রঘুনাথপুর শহরের বড় পুজো মুনসেফডাঙা সর্বজনীনের সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের থিম পরিবেশ রক্ষা। সেই জন্য চট, কুলো, বাঁশের মত জিনিসপত্র দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।”
চতুর্থী থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ছে রঘুনাথপুরে। উৎসবের ভিড় চোখে পড়ছে রাস্তাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy