নুর মহম্মদ শা (ডান দিকে) এবং জিয়াবুল হক (বাঁ দিকে)।
জামিনে মুক্তকে আনতে গিয়ে ভিন্ জেলায় গুলিবিদ্ধ হলেন পূর্ব বর্ধমানের শাসক দলের দুই নেতা। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় মোটরবাইকে চেপে আসা আততায়ী কেন গুলি চালাল ওই নেতাদের গাড়িতে, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। যাঁকে জামিনে মুক্তির পরে আনতে গিয়েছিলেন ওই নেতারা, কাটোয়ার সেই সাদ্দাম শেখের ঘটনার পরে খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ।
সাদ্দাম কাটোয়ার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের ছেলে। এ দিন বাঁকুড়া সংশোধনাগার থেকে তাঁকে আনতে যান গলসির দয়ালপুরের জিয়াবুল হক ও তেঁতুলমুড়ির নুর মহম্মদ শাহ। জিয়াবুল ওরফে বাঘা জঙ্গল, সাদ্দামদের আত্মীয়। তিনি এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। তাঁর স্ত্রী নৈমিতা শেখ এ বার গলসি পঞ্চায়েতে জিতে সদস্য হয়েছেন। নুর মহম্মদ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র পূর্ব বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। জিয়াবুল ও নুর আহত হয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাদ্দামের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, বেআইনি অস্ত্র মজুত-সহ নানা মামলা রয়েছে। ২০১৬ সালে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। খুনের মামলায় গ্রেফতার হন জঙ্গলও। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চলছিল। দু’জনই জেল হেফাজতে ছিলেন। বর্ধমান জেলে থাকাকালীন জঙ্গল-সাদ্দামদের সঙ্গে অন্য বন্দিদের গোষ্ঠীর গোলমাল হয়। তার পরেই দু’জনকে অন্য জেলার সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সাদ্দামের মা বুড়ি বিবিও মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন। বেশ কিছু দিন আগে বুড়ি বিবি জামিনে মুক্তি পান। হাই কোর্ট থেকে জামিন মেলায় রবিবার জঙ্গল পুরুলিয়ার সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান। এ দিন বাঁকুড়ায় ছাড়া পান সাদ্দাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে তাঁকে আনতে জিয়াবুল, নুর মহম্মদ ও গলসির গোহগ্রামের আর এক তৃণমূল নেতা শেখ রবিউল একটি গাড়িতে বাঁকুড়া যান। তবে এ বিষয়ে তাঁরা কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন ওই নেতাদের পরিজনেরা। নৈমিতা বলেন, ‘‘প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বাড়ি থেকে স্বামী বেরিয়ে যান। কোথায় যাচ্ছেন বলে যাননি। পরে বাঁকুড়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই।’’ নুর মহম্মদের বাবা নওশাদ শাহ বলেন, ‘‘ছেলে বাঁকুড়া গিয়েছে জানতাম না। কী হয়েছে ঠিক জানা নেই।’’
ফোনে নুর মহম্মদ বলেন, ‘‘আমি বাড়িতে ছিলাম। দুর্গাপুরে যাওয়ার কথা বলে ফোন করে জিয়াবুল আমাকে ডাকে। পথে জানতে পারি, ওর আত্মীয়কে নিতে বাঁকুড়া যাচ্ছি আমরা।’’ তিনি অভিযোগ করেন, পিছন থেকে বাইকে চড়ে এসে তাঁদের গাড়ির দিকে গুলি করে দুষ্কৃতী। মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে জানান। কে বা কারা কেন এই হামলা চালাল, তা বুঝতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। কেন এমন হামলা হয়ে থাকতে পারে, ঘটনার খবর আসার পর থেকে চর্চা শোনা গিয়েছে গলসি ও কাটোয়াতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy