কারখানার দরজায় ঝুলল ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস। প্রতীকী ছবি।
আগেই ‘দেউলিয়া’ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশে ব্যাঙ্কের তরফে নিযুক্ত ‘লিকুইডেটর’ তিন বছরের মেয়াদে কারখানা চালাচ্ছিল। সে মেয়াদ ফুরিয়ে যেতেই কারখানার দরজায় ঝুলল ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস। পুজোর মুখে এই ঘটনায় হতাশা ছড়িয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার বনকাটি গ্রামের ওই স্পঞ্জআয়রন কারখানার হাজারখানেক শ্রমিকের মধ্যে। প্রতিবাদে শুক্রবার কারখানার দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা।
কারখানা কর্তৃপক্ষও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০০ সালে ওই স্পঞ্জ আয়রন কারখানা চালু হয়। ২০১৬ সালে কারখানাটি দেউলিয়া ঘোষণা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৮ সাল থেকে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের নির্দেশে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ‘লিকুইডেটর’ নিয়োগ করে কারখানা চালাচ্ছিল। প্রায় ১,২০০ স্থায়ী ও ঠিকা শ্রমিক এই কারখানায় যুক্ত। বৃহস্পতিবার কাজ চলাকালীনই ওই কারখানায় ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দেওয়া হয় ‘লিকুইডেটর’-এর তরফে। শুক্রবার কারখানার শ্রমিকেরা অবস্থান বিক্ষোভ দেখান।
কারখানার আইএনটিটিইউসি ইউনিটের সভাপতি প্রদীপ দাস দাবি করেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল কারখানা চালু রেখেই তা বিক্রি করতে হবে। সে নির্দেশ মানা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী কাজ হয়েছে।” ওই কারখানার সিটুর শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক আনন্দময় সিংহ ঠাকুর দাবি করেন, “পুজোর মুখে এ ভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ায় শ্রমিকেরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। কারখানার স্থায়ী শ্রমিকদের এক মাসের বেতন ও ঠিকা শ্রমিকদের অন্তত দু’মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।” কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাসুদেব চৌধুরী, সনৎ মাঝি, রামঅযোধ্যা রায় বলেন, “পুজোর মুখে আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লাম। মেনে নিতে পারছি না।”
‘লিকুইডেটর’-এর তরফে কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব দাশগুপ্ত দাবি করেন, “কারখানাটি চালু অবস্থায় বার বার বিক্রি করার চেষ্টা করেও কোনও সংস্থার কাছ থেকে সাড়া পাইনি। কারখানার মেশিনপত্রের অবস্থা খুবই খারাপ। তা ছাড়া, তিন বছরের মেয়াদে কারখানাটি লিকুইডেটর চালাচ্ছিল। সই মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, পরিস্থিতির কথা ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালকে জানানো হচ্ছে। সেখান থেকে নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
জেলা শ্রম দফতরের সহকারী শ্রম কমিশনার আশিসকুমার গড়াইয়ের আশ্বাস, “ঘটনাটি ইতিমধ্যেই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমস্যাটি যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সে জন্য দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy