পুজোর আগে শেষ রবিবার জম জমাট বাজার। সিউড়ির কোট বাজারে। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগে চলে গেল শেষ শনি ও রবিবার। পুরোদমে চলল কেনাকাটা। সিউড়ি ও বোলপুরের সব ক’টি উল্লেখযোগ্য বাজারে মানুষের ঢল নেমেছিল। শহরের শপিং মলগুলিতেও কার্যত পা ফেলার জায়গা ছিল না। গত কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছিল, শেষ দু’সপ্তাহে তা পূরণ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে, শপিং মলের ভিড়ে কিছুটা হলেও কোণঠাসা ছোট দোকানগুলি। সপ্তাহান্তে ক্রেতাদের ভিড় জমলেও, তা অন্য বছরের তুলনায় কম বলেই দাবি বিক্রেতাদের৷ রামপুরহাটে পুজোর ব্যবসা আশানুরূপ হয়নি বলেই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় এ বার বিক্রি বেশ কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ী সমিতির।
রবিবার সিউড়ির একটি শপিং মল কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার তাঁদের প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে। রবিবার সেই অঙ্কটা প্রায় ৩৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই। ওই মলের ম্যানেজার জানান, শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষ আসছেন তাঁদের মলে। একই ছাদের তলায় পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জামাকাপড়, জুতো ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মেলায় ভিড় হচ্ছে প্রচুর। ষষ্ঠী পর্যন্ত প্রতি দিনই ব্যবসার অঙ্ক ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই আশাবাদী তিনি। শহরের অন্য একটি মলে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রির পরিমাণ ২২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। দূরের ক্রেতারা ছুটির দিনে সকালে কেনাকাটা করতে ভালবাসেন। তাই সকাল থেকে এতটা ভিড় রয়েছে বলে জানাল ওই মলের ম্যানেজার।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ সুব্রত ভকত জানান, পুজোর আগের দিন দশেক ধরে বাজার জমে উঠেছে। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন ও টানা বৃষ্টির কারণে বিক্রেতাদের মধ্যে যে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা প্রায় পুরোটাই কেটে গিয়েছে। সুব্রত বলেন, “গোটা বোলপুর বাজারের এ সময়ে মোট আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে, গত বছর যে টাকার কেনাকাটা হয়েছিল, এ বার সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছে।”
তবে কিছুটা ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে রামপুরহাটের ক্ষেত্রে। রামপুরহাট শহর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহজাদা হোসেন কিনু বলেন, “পুজোর কয়েক মাস আগেই শহর জুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের কারণে এ বার ব্যবসা বেশ মার খেয়েছে। আমরা যে অন্যত্র নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছি, তা অনেকে এখনও জানেনই না। বছরের অন্য রবিবার যেমন ব্যবসা হয়, এ দিনও তেমনই হয়েছে।” কিনু জানান, পুজোর আগে সপ্তাহান্তে ছোট জামাকাপড় বা জুতোর দোকানগুলি ১৫-২০ হাজার টাকার জিনিস বিক্রি করে৷ এ বার সেই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়নি।
রামপুরহাট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বান্টিয়া বলেন, “রামপুরহাটে পুজোর বাজার খুব ভাল হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। শহরে গত বছরের তুলনায় এ বছরের বিক্রি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে। মানুষের হাতে টাকা না থাকা এবং রামপুরহাট সংলগ্ন পাথর শিল্পাঞ্চলে কাজ বন্ধ থাকাই সম্ভবত এর প্রধান কারণ।” মল্লিকপুর থেকে এ দিন সপরিবার জামাকাপড় কিনতে এসেছিলেন সৌগত প্রামাণিক। তিনি বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের পুজোর বাজারের সব পরিকল্পনাই মাটি হয়ে গিয়েছিল। তাই আজ সকাল থেকেই এসেছি, যাতে এক দিনেই সমস্ত কেনাকাটা করা যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy