Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Duare sarkar

অভিযোগ জমল বাক্সে, কেউ পেলেন পরিষেবাও

বান্দোয়ানের ঘুসিকডি গ্রামের বাসিন্দা হাঁসু মাহাতো এসেছিলেন বান্দোয়ান ব্লকের মূল শিবিরে স্ত্রীর বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্র জমা দিতে।

রাজস্থান বিদ্যাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

রাজস্থান বিদ্যাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৭
Share: Save:

কোথাও আবেদনের দিনেই মিলল পরিষেবা। কোথাও আবার আগে আবেদন করেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠল।

এ বারই প্রথম শিবিরগুলিতে ‘অভিযোগ বাক্স’ রেখেছে প্রশাসন। অনেকে সেখানে অভিযোগ জানান। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাঁকুড়া ১ ব্লকের কালপাথরের শিবিরের বাক্সে বার্ধক্যভাতা না মেলা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। আঁচুড়ির শিবিরে স্থানীয় একটি রাস্তা তৈরির আবেদন জমা পড়েছে। বিডিও (বাঁকুড়া ১) অঞ্জয় চৌধুরী বলেন, “আবেদনগুলি খতিয়ে দেখেছি। বার্ধক্যভাতা না মেলা নিয়ে অভিযোগ জানানো তিন জনেরই আবেদন আগে মঞ্জুর হয়েছে। তবে প্রকল্পের টাকা এখনও তাঁরা পাচ্ছেন না কেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। আঁচুড়িতে রাস্তা গড়ার আবেদনটি পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা হবে।”

পুরুলিয়া জেলাতেও আগে আবেদন করে প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। বান্দোয়ানের ঘুসিকডি গ্রামের বাসিন্দা হাঁসু মাহাতো এসেছিলেন বান্দোয়ান ব্লকের মূল শিবিরে স্ত্রীর বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্র জমা দিতে। তাঁর দাবি, ‘‘আমি ভাতা পাই। কিন্তু স্ত্রীর জন্য আগেও আবেদন জমা করেছি, ভাতা মেলেনি। আজ আবার আবেদন জমা করলাম।’’ একই দাবি বাংলা গ্রামের জিরা মান্ডিরও। তাঁর কথায়, ‘‘আগেও বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেছিলাম, পাইনি। এ বার আবার আবেদন জমা করলাম।’’ রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর গ্রামের শিবিরে স্বাস্থ্যসাথীর আবেদন জমা দিয়ে গুলশন খাতুন দাবি করেন, ‘‘আগেও আবেদন করেছিলাম, হয়নি। এ বারও জমা দিলাম।’’

উল্টো ছবিও আছে। পুরুলিয়ার জয়পুরের বাসিন্দা পিউ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র পূরণে সাহায্য করেন বিডিও বিশ্বজিৎ দাস ও আইসি মহাকাশ চৌধুরী। পিউয়ের স্বামী মিঠুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্ত্রীর আবেদন যে এ দিনই মঞ্জুর হয়ে যাবে, ভাবিনি।’’ প্রশাসন জানিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত এলাকারই বাসিন্দা রুমা রাজোয়াড় এ দিনই জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন জমা করেছিলেন। জেলাশাসক রজত নন্দা এ দিনই শিবির থেকে তাঁকে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন।

খাতড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌতম মুখোপাধ্যায় হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। শুক্রবার খাতড়া ব্লক অফিসে তাঁর পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন করেছিল। এ দিন ভ্রাম্যমাণ দুয়ারে সরকার শিবিরের গাড়ি গৌতমের বাড়িতে হাজির হয়। পৌঁছন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, মহকুমা শাসক (খাতড়া) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, খাতড়ার বিডিও অভীক বিশ্বাস। জেলাশাসকের নির্দেশে দ্রুত গৌতমের পরিবারের লোকজনের ছবি-সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে হাতে হাতে কার্ড বানিয়ে তুলে দেওয়া হয়। গৌতম বলেন, “এত দ্রুত প্রশাসনিক কর্তারা বাড়িতে এসে কার্ড বানিয়ে দেবেন ভাবিনি।’’ মহকুমাশাসক বলেন, “তাঁর অবিলম্বে কার্ডের প্রয়োজন জেনেই দ্রুত ব্যবস্থা করা হল।”

অন্য বিষয়গুলি:

Duare sarkar Complaint Box
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy