—প্রতীকী চিত্র।
দলের শহিদ সমাবেশে কর্মী-সমর্থক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া এবং ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য ও প্রেক্ষিত দলের নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দেওয়া। শনিবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকে কর্মীদের উদ্দেশে এই দুই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২১ জুলাইকে সামনে রেখে এ দিন বোলপুরে তৃণমূলের ওই বৈঠক হয়। পরে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিপুল ভোটে দু’টি লোকসভা আসনে জেতার পরে প্রায় ১ লক্ষ কর্মী-সমর্থককে বীরভূম থেকে (শহিদ দিবসে) নিয়ে যাওয়ার ভাবনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন ২১ জুলাই আবেগের বিষয়, দলের নতুন ছেলেমেয়েরা তার সঙ্গে পরিচিত নয়। সেই জন্য তাঁদের কাছে এই দিনটির প্রেক্ষিত তুলে ধরতে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এ দিনের বৈঠকে ছিলেন দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিংহ, অভিজিৎ সিংহ, কাজল শেখই। ছিলেন সাংসদ অসিত মাল এবং প্রতিটি ব্লকের সভাপতি, শহর সভাপতি, শাখা সংগঠনের সভাপতিরা। এলাকায় ফিরে গিয়ে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে বৈঠকে। লোক জমায়েতের ব্যবস্থার সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য, প্রেক্ষিত বোঝাতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পথসভা করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। খয়রাশোল, দুবরাজপুর, রাজনগর, সিউড়ি ২ ব্লক তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, ২১ জুলাইকে ঘিরে এলাকায় মিছিল, সভা, পোস্টার সাঁটানো, দেওয়াল লিখন চলছিল। এ বার ভিড়ের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়ার পরে কে কী ভাবে যাবেন, সেটা ঠিক করে দলকে জানিয়ে দিতে হবে।
গত বছর শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে বাসের বদলে ছোট গাড়ি ও ট্রেনের উপরে ভরসা করেছিলেন শাসকদলের নেতারা। এ বারেও ট্রেনের উপরে ভরসা বেশি থাকবে মত ব্লক নেতাদের।দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক রফিউল খান বলেন, ‘‘আমাদের ব্লক থেকে দু’হাজার কর্মী-সমর্থক শহিদ সমাবেশে যাবেন। ১৫টির মতো বাস করার ভাবনা রয়েছে। বাকিরা মূলত ট্রেনে ও ছোট গাড়িতে যাবেন।’’ হাজার দেড়েক লোক নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে রাজনগর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের। ওই ব্লকের সভাপতি সুকুমার সাধু জানান, বাস থাকবে ঠিকই। তবে ট্রেনেও যাবেন কর্মীরা।
সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার ব্লক থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা মূলত সাঁইথিয়া, আমোদপুর ও সিউড়ি স্টেশন থেকে আগের রাত থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন।’’ খয়রাশোল ব্লক থেকে ৩ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ব্লকের কোর কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল গায়েনের কথায়, ‘‘ট্রেনেই যাবেন অধিকাংশ কর্মী। বাসের খরচ বেশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy