—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির রদবদল নিয়ে সরগরম জেলার রাজনীতি। সেই চর্চা জমে উঠেছে সমাজমাধ্যমেও। চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে কোর কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি।
তৃণমূলের সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে জেলা স্তরের নেতা—অনেকেই এ বিষয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন। কেউ আকারে, ইঙ্গিতে কেউ খোলাখুলি দলের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। পোস্টে উচ্ছ্বাস বা ক্ষোভ কোনওটাই চাপা থাকছে না।
দলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা স্তরের নেতা প্রলয় নায়েক নতুন কোর কমিটি ঘোষণা হতেই নিজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন, ‘‘আমি নয়, আমরা।’’ কয়েক দিন আগেই একটি অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষক নেতাকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানিয়েও পরে আমন্ত্রিতের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর নেপথ্যে কাজলের হাত রয়েছে বলে তৃণমূলেরই একটি অংশ অভিযোগ করেছিল। ওই ঘটনার পরে ৭ জানুয়ারি প্রলয় একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘খেলা জমে গিয়েছে, ওয়েট।’’ ওই পোস্টের কমেন্ট সেকশন ভরে উঠেছিল, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ’’ স্লোগানে।
তৃণমূলের এক জেলা মুখপাত্র জামশেদ আলি খান লিখেছেন, “বন্যার জলের যতই গতি, গর্জন থাকুক না কেন, তা শুধুমাত্র সীমিত কয়েক দিনের।” সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে কেউ লিখেছেন, “এই বীরভূম অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম। যে যে যখন তাঁর নাম মোছার চেষ্টা করবে, সেই মুছে যাবে।” আর এক জনের মন্তব্য, ‘‘পুনঃ মূষিক ভব।’’ সিউড়ি শহরে তৃণমূলের আইটি সেলের এক পরিচিত কর্মী লিখেছেন, ‘‘টিম অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ।’’
উল্টো দিকে রয়েছে ক্ষোভের ছবি। কাজল শেখের অফিসিয়াল পেজ থেকে নতুন কোর কমিটি ঘোষণার পরেই লেখা হয়েছিল, “বীরভূম জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব-সহ লোকসভা ভোটের পূর্বে নানুর এবং কেতুগ্রাম বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সকলের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।” সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। এক ব্যক্তি লিখেছেন, “গোটা জেলা ছেঁটে মাত্র দু’টি ব্লক। আনন্দের কিছু নেই।” আর এক ব্যক্তির মন্তব্য, “ডানা কাটা শুরু। দিদি কারও নয়। স্বার্থ যেখানে, দিদি সেখানে”৷ কাজল শেখের ওই ফেসবুক পেজ থেকেই ফিরহাদ হাকিমের একটি বক্তব্যও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘সভাধিপতির পদে থাকা মানে স্বাভাবিক ভাবেই কোর কমিটিতে থাকা।’’ সেই পোস্টের কমেন্টে কাজলের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেচনা করে সেখানে কিছু পরিবর্তন করেছেন। কাউকে ছোট করা বা কাউকে বড় করার কোনও বিষয় নেই। দলের তরফ থেকে প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব সকলেই পালন করবেন। কোর কমিটির বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত, তা রাজ্য স্তরে। জেলার নেতা, কর্মীদের উচ্ছ্বাস বা আক্ষেপের কোনও কারণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy