সরকারি হোমের শৌচাগারে মিলল কিশোরের দেহ। প্রতীকী চিত্র।
সরকারি হোমের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল নবম শ্রেণির পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। রবিবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। সোমবার ময়নাতদন্তও হয়েছে কিশোরের দেহের। এই ঘটনা ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া মড়ার অঞ্চলে সুমঙ্গলম নামে একটি সরকারি হোম রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিশু কল্যাণ কমিটির তরফে ওই কিশোর এবং তার ভাইকে পাঠানো হয়েছিল সুমঙ্গলম হোমে। তার পর থেকে তারা ছিল ওই হোমেই। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর স্থানীয় মড়ার সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। রবিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুপুরে অপর এক আবাসিকের সঙ্গে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল ওই কিশোর। কিছু ক্ষণ পর সহ-আবাসিক দেখতে পান ওই কিশোর নিজের বিছানায় নেই। আবাসিকদের নজরে আসে ঘর লাগোয়া শৌচাগারের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। শৌচাগারের পিছনে গিয়ে দেখা যায় ওই কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এর পর শৌচাগারের দরজা ভেঙে কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার কিশোরের দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
মড়ার সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বিপ্লবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘হোমের তরফে আমাদের স্কুলকে কিশোরের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছেই ঘটনার কথা জেনেছি। ওই কিশোর বাধ্য ছাত্র ছিল। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা মর্মাহত।’’
এই নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুমান ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনা নিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy