সহকর্মীদের কাঁধে গ্রামে এল গোপীনাথ মাকুড়ের দেহ। নিজস্ব চিত্র
শোকসন্তপ্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত সেনা জওয়ান গোপীনাথ মাকুড়ের দেহ এল রবিবার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহের ভালুকা গ্রামে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন জেলার প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তারা। বীরের সম্মান জানিয়ে গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার সকালে উত্তর সিকিমের জেমায় সেনাবাহিনীর ট্রাক দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জন সেনার সঙ্গে প্রাণ হারান গোপীনাথ। শুক্রবার বিকেলে সে খবর পাওয়ার পরেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারপর থেকেই তাঁর দেহ আসার প্রতীক্ষা শুরু হয়। শনিবার বিকেলে বিশেষ হেলিকপ্টারে দেহ আসে পানাগড় সেনাছাউনিতে।
তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন সকাল থেকেই বিষ্ণুপুর-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের লাইটহাউস মোড়ে বহু মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে ভিড় করেছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর দেহ নিয়ে সেনার গাড়ি এসে পৌঁছতেই জনতা পিছু নেয়। বীরের সম্মান জানাতে ভালুকা খেলার মাঠে একটি মঞ্চ তৈরি করেছিল প্রশাসন।
সেখানে নামানো হয় গোপীনাথের কফিনবন্দি দেহ। সেখানে তাঁর দেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, এসডিও (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গণেশ বিশ্বাস, বিডিও (বিষ্ণুপুর) শতদল দত্ত প্রমুখ।
তারপরে দেহ নিয়ে সেনারা যান গ্রামের ভিতরের একটি মঞ্চে। সেখানে গ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। পরে ভালুকা শ্মশানে গান স্যালুট জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
স্বামীর মৃত্যুতে বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী মল্লিকা। শোকে পাথর মা যমুনা ও বাবা মধুসূদন। গোপীনাথের ছেলেবেলার বন্ধু মানস পাত্র, সুনীল মাকুড়ের মতো অনেকেই কফিন বন্দি দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের একটাই সান্ত্বনা, অগণিত মানুষের ভিড়ে বীরের সম্মান পেলেন গোপীনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy