১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে গম্ভীরা সেতুতে ফাটল। শুরু হয়েছে সংস্কার। বুধবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
ফাটল দেখা দিল ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে অবস্থিত গম্ভীরা সেতুতে। মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই ফাটল সারানোর কাজ শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাই, সেতুর এক দিক দিয়ে যান চালচল করছে। ফলে, জাতীয় সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট। যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বার বার অস্থায়ী সংস্কারের বদলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
রামপুরহাট মহকুমাশাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার থেকে ফাটল সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। ফলে, সেতুর এক দিক দিয়ে যান চলাচল করছে।’’
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো জেলার সংযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে গম্ভীরা সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেতুটির স্থায়ী সংস্কারের দাবি করেছেন এলাকবাসী। তাঁদের অভিযোগ, মালবাহী ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে ৬০ বছরের বেশি পুরনোসেতুটির ঢালাইয়ের একাংশ ভেঙে লোহার রড দেখা যাচ্ছে। সেতুর উপরে নানা জায়গায় খন্দ তৈরি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সংস্কার করলেও তা বেশি দিন টেকে না। এ ভাবে বার বার সংস্কার করলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি হয়। তাই সেতুটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
জাতীয় সড়কের একাধিক বার সংস্কার করা হলেও সেতুগুলি এক বারও স্থায়ী সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সেতুটির দীর্ঘদিন স্থায়ী সংস্কার হয়নি। অস্থায়ী ভাবে সংস্কারের ফলে সেতুটি ক্রমশ আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সেতুটির স্থায়ী সংস্কার করা দরকার। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া দরকার।’’
১৪ নম্বর জাতীয় সড়কেরনির্বাহী বাস্তুকার ভিকে সিংহ বলেন, ‘‘সেতুটি জায়গায় জায়গায় খারাপ অবস্থা। সে কারণে অস্থায়ী ভাবে সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করা যায় দ্রুত কাজ শেষ হবে। মার্চে মধ্যে জাতীয় সড়কের উপর বেশ কয়েকটি পুরনো সেতুর স্থায়ী ভাবে সংস্কারের অনুমোদন মিলবে বলে আশা করছি। এর মধ্যে গম্ভীরা সেতুও আছে। অনুমোদন মিললে স্থায়ী ভাবে কাজ করা হবে।’’
এক নজরে
অবস্থান: নলহাটি ২ ব্লকের শেষ সীমায় গম্ভীরা কাঁদরের উপরে।
সংযোগ: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি ও বীরভূমের নলহাটির সংযোগ করে।
দৈর্ঘ্য: ৬৬ মিটার।
কত পুরনো: ৬০ বছরের বেশি বয়স হয়েছে।
কোথায় সমস্যা: অনেক জায়গায় প্লাস্টার খসে লোহা বেরিয়েছে। পথ খন্দে ভরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy