আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামপুহাটে। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য জুড়ে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার সমস্ত সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য কর্মচারী সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই ধর্মঘটকে সফল করতে বুধবার থেকেই পথে নেমে পড়লেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ধর্মঘটের সমর্থনে এ দিন সন্ধ্যায় সিউড়ির মসজিদ মোড়, এসপি মোড় ও বাস স্ট্যান্ডে তিনটি পথসভা হয়। কোন কোন দাবিতে এই ধর্মঘট এবং কেন সেই দাবিগুলিকে সমর্থন করা উচিত, সেই বিষয়ে পথসভায় বক্তব্য রাখা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘটের সমর্থনে পোস্টারও লাগানো হয়।
বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলের আয়োজন করা হয়। এ দিন বিকালে রামপুরহাটে একটি মিছিল আয়োজিত হয় যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে। নলহাটি ২ ব্লকের লোহাপুরে সিআইটিইউ-এর পক্ষ থেকেও একটি মিছিল আয়োজিত হয়। পথসভা করে বাম সংগঠনগুলি। সন্ধ্যায় যৌথ মঞ্চের সদস্যরা মিছিল করেন সিউড়ি মুখ্য ডাকঘরের সামনে থেকেও। এবিটিএ, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, আদালত কর্মচারী সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এই মিছিলে। শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত স্তব্ধ থাকবে বলে দাবি জানানো হয় মিছিল থেকে। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি, শুক্রবার যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সোমবার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না- এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। তবে আমাদের সদস্যরা ধর্মঘট সফল করতে বদ্ধপরিকর।” তিনি আরও বলেন, “আবার প্রশাসনিক স্তরেই অনেক আধিকারিক আড়াল থেকে আমাদের ধর্মঘটের প্রত্যেকটি ইস্যুকে সমর্থন করছেন, প্রয়োজনীয় সাহায্যও করছেন।”
শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকেই সমস্ত সরকারি কার্যালয়ের সামনে তাঁরা পিকেটিং করবেন এবং আগত কর্মীদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অনুরোধ করবেন বলেও জানান উজ্জ্বল। তবে কাজ করতে আগ্রহী কর্মীদের আটকানো হবে না বলেও জানান তিনি। এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা আমরা চাই না। তাই শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব।” তিনি আরও বলেন, “সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও কখনও মাইনে কাটার বা কর্মদিবস কমিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার সাহস দেখাতে পারেনি।”
ধর্মঘটে যদিও জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে শুক্রবার কর্মীদের বাধ্যতামূলক ভাবে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে জেলাশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই শুক্রবারও কাজকর্ম চলবে।”
তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠন আইএনটিটিইউসি-এর জেলা সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, “এটা যেহেতু কোনও সাধারণ ধর্মঘট নয়, তাই আমদের রাস্তায় নামার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে জোর করে কেউ ধর্মঘট সফল করতে চাইলে আমরা তা মেনে নেব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy