ব্রাহ্মণীর সেতুর ফাটল মেরামতের কাজ চলছে। এক পাশ দিয়ে চলছে যান। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
ফের ফাটল দেখা দিল ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নলহাটি থানার জগধারী গ্রাম সংলগ্ন ব্রাহ্মণী সেতুর রাস্তার একাংশে। ফলে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সেতুর উপরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করতে শুরু করেছে। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, সেতুটি পুর্ননির্মাণের প্রয়োজন আছে। সে মতো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের স্থানীয় আধিকারিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে সেতুটি বেশ কয়েক বার খারাপ হয়েছে। বছর সাতেক আগে সেতুটির এক পাশের রেলিং-সহ ফুটপাতের একাংশ ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্ত সেই অংশের মেরামত করা হয়। মাঝেমধ্যে সেতুটির উপরের রাস্তায় বিটুমিনের প্রলেপ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বড় কোনও সংস্কার হয়নি।
এ দিন আবার ব্রাহ্মণী সেতুর উপরে প্রায় এক মিটার অংশে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নলহাটি থানার পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। ভাঙা অংশ এড়িয়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল কবীর, হাফিজুল ইসলামেরা বলেন, ‘‘সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। অনেক সময় বেশি গাড়ি গেলে সেতুটি কাঁপতে থাকে।’’ তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সেতুটি সংস্কার করা দরকার।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বাস্তুকার জয়ন্ত গড়াই বলেন, ‘‘ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ১৯৬০ সালে তৈরি হওয়া সেতুটির পুর্ননির্মাণের প্রয়োজন। যে আমলে সেতুটি তৈরি হয়েছিল তখন ৫-১০ টনের গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এমন নকশাতেই সেতুটি তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে ওই সেতুর উপরে ৩০ টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতায়াত করে।’’
পাশাপাশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর দাবি, শুধু ব্রাহ্মণীর সেতু নয়, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে থাকা ১৩টি পুরনো সেতু দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেতুগুলি সংস্কার করে কোনও লাভ হবে না। গাড়ির সংখ্যা যা বেড়েছে তাতে সেতুগুলিতে চার লেনের হওয়া দরকার। সেতুগুলি নতুন করে নির্মাণের জন্য জাতীয় সড়ক নির্মাণ মন্ত্রকের কাছে ডিপিআর পাঠানো আছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন শীঘ্রই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানান জয়ন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy