—ফাইল ছবি
আট বছর বন্ধ থাকার পরে খুলল সিপিএম কার্যালয়। উড়ল লাল পতাকা।
২০১১ বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতের বামুনবাঁধ এলাকার সিপিএম কার্যালয়। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল ‘আশ্রিত’ দুষ্কৃতীরা তিন বার কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালিয়েছিল। সন্ত্রাসের জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল কার্যালয়।
বুধবার সকাল ১০ টা নাগাদ ওই কার্যালয়টি ফের খোলেন সিপিএম কর্মীরা। ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক পদ্মলোচন ঘোষ। কার্যালয় খোলার পরে, দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিপিএম কর্মীরা। তারপরে ওই কার্যালয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র, জেলা কমিটির সদস্য তথা কৃষকসভার জেলা সভাপতি ষড়ানন পাণ্ডে এবং বিষ্ণুপুর দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সদস্যেরা। নেতৃত্বের দাবি, এ দিনের কর্মসূচিতে হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক হাজির ছিলেন।
গত লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের প্রভাবও কিছুটা কমে। তারপরে এলাকার রাজনৈতিক চিত্রের বদল হয়। পদ্মলোচনবাবুর অভিযোগ, ‘‘শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অমানবিক অত্যাচার চালাত আমাদের কর্মীদের উপরে। তিন বার কার্যালয় আক্রমণ করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তালা ভেঙে জিনিসপত্র লুট করে তারা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘চায়ের দোকানে বসে গল্প করার সুযোগটুকুও ছিল না। মানুষের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূল।’’ পদ্মলোচনবাবুর সংযোজন, ‘‘এখন রাজনৈতিক অবস্থা কিছুটা হলেও বদলেছে। এলাকার মানুষই সাহস সঞ্চয় করে, আমাদের কার্যালয়টি খোলার উদ্যোগী হয়েছিলেন।’’
সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বিষ্ণুপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মথুর কাউড়ির পাল্টা মন্তব্য, ‘‘আমরা অত্যাচার চালালে আজও অফিস খুলতে পারত না সিপিএম। ৩৪ বছরের রাজত্বে সিপিএম কেমন অত্যাচার করেছে, তা তারা ভাল ভাবেই জানে।’’ কার্যালয় খুললেও তাতে সিপিএমের লাভ কিছু হবে না বলে মনে করেন মথুরবাবু। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘খদ্দের না এলে দোকান খুলে লাভ কি? সিপিএমের উপরে মানুষ আর ভরসা করেন না।’’
এ দিকে, সিপিএমের কার্যালয় খোলার নেপথ্যে আবার তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি। দলের বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি স্বপন ঘোষের দাবি, ‘‘তৃণমূলের মদতেই কার্যালয় খুলেছে সিপিএম। সিপিএমকে অক্সিজেন দিয়ে বিরোধী ভোট ভাগ করার কৌশল নিয়েছে তারা। তবে তাতে কোনও লাভ তৃণমূলের হবে না।’’ বিজেপির ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy