ক্যামেরা দেখেই মুখ ঢাকার চেষ্টা। বিষ্ণুপুরের কলাবাগানে। নিজস্ব চিত্র
করোনা-পরিস্থিতিতে দূরত্ব বজায় রেখে যাবতীয় সতর্কতা নিয়ে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের কলাবাগান এলাকায় একশো দিনের কাজে সে সব বিধি না মেনেই অনেকে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, একশো দিনের প্রকল্পে লোকালয়ে হাতি ঢোকা আটকাতে সেখানে পরিখা কাটার কাজ চলছে। জায়গায় পরিখা কাটার কাজ করছিলেন বেশ কিছু শ্রমিক। অধিকাংশের মুখ ঢাকা ছিল না। অনেককেই দূরত্ব-বিধি না মেনে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
ওই কাজের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজ়ার বিকাশ নায়েক বলেন, “ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই কাজ শুরু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবাইকে কাজ করতে বলা হয়েছে। তার পরেও কেউ-কেউ হয়তো তা মানছেন না। নজরে এলেই তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে।’’
বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক শিবদাস মণ্ডল বলেন, “বাহাদুরপাড়া গ্রাম সংসদের কলাবাগান ও বড়ামারা গ্রামের মানুষ এই কাজে যুক্ত। জঙ্গলের মোট দুই কিলোমিটার এলাকায় হাতি আটকাতে পরিখা খননের কাজ চলছে। কাজ শুরুর দিনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ‘স্যানিটাইজ়ার’ ব্যবহার করা ও মুখে ‘মাস্ক’ বা কাপড় বাঁধার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশমতো ছবিও তুলে পাঠিয়েছে পঞ্চায়েতে। কিন্তু এখন কী হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ তিনি এ-ও জানান, একশো দিনের কাজ স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই চালাতে হবে। অন্যথা করার উপায় নেই। বাঁকাদহ পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী নায়েককে বার বার ফোন করা হলেও তিনি কথা বলেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
তবে বিডিও (বিষ্ণুপুর) স্নেহাশিস দত্ত বলেন, “সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা বা ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পঞ্চায়েতকে। সেখানে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
তিনি জানান, আর্থিক সঙ্কটে দিনমজুর মানুষের স্বার্থে শুরু হয়েছে একশো দিনের কাজ। তবে নির্দেশ মেনে চলাটাও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy