Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়া নিয়েও চিন্তা

ভ্যাকসিন রাখার জন্য দুটি স্বাস্থ্য জেলার ৪৩টি কোল্ডচেন পয়েন্টও তৈরি। প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দয়াল সেনগুপ্ত 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৬
Share: Save:

করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কারও কারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন’। এমনটা ঘটে থাকলে দ্রুত তার চিকিৎসা জরুরি।

ঠিক কবে থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেটা নিশ্চিত নয়। কিন্তু, ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে এমনটা ঘটতেই পারে। যাঁদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে ঠিক কেমন পরিকাঠামো প্রয়োজন, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যাতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কারও এইএফআই হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়। এ জন্য তিনটি আলো-বাতাসযুক্ত ঘরের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার দুই স্বাস্থ্য জেলার কোল্ড চেন পয়েন্ট বেস করেই সেগুলি চিহ্নিত করার কাজ এগোচ্ছে।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, কোভিড টিকা দেওয়া হবে প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে। ইতিমধ্যেই ব্লকে ব্লকে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাঁদের প্রথমে একটি ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অন্য একটি ঘরে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা। তার পরে তাঁদেরকে আর একটি ঘরে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে দেখা অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন হচ্ছে কিনা। রামপুরহাটের ডেপুটি সিএমওএইচ ১ অমিতাভ কুণ্ডু জানান, ইতিমধ্যেই কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্য দিকে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘তিনটি করে ঘর দেখার কথা স্বাস্থ্য দফতরের ভিসিতে বলা হয়েছে। প্রথম ধাপে যেহেতু স্বাস্থ্যকর্মীরাই টিকা পাবেন, তাই সেটার জন্য জেলা মহকুমা ও ব্লক হাসপাতালের পরিকাঠামোই যথেষ্ট।’’

ভ্যাকসিন এলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার আগে রয়েছেন সেই সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের (বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত) ডেটাবেস তৈরির কাজ আগেই শেষ করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলায় ডেটাবেসে রয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। পরের ধাপে পুলিশ কর্মী-সহ করোনা মোকাবিলায় যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। এর পরের ধাপে থাকবেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আবার যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন।

ইতিমধ্যেই কোভিড ভ্যাকসন দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত তিন ধরনের সিরিঞ্জ দেওয়ার কথা জানিয়ে চলতি মাসেই প্রতিটি স্বাস্থ্য জেলাকে প্রয়োজনীয় জায়গা ‘ড্রাই স্পেস’ প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়ছে। ভ্যাকসিন রাখার জন্য দুটি স্বাস্থ্য জেলার ৪৩টি কোল্ডচেন পয়েন্টও তৈরি। প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal side effects Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy