ভিড়: সিউড়ি (উপরে বাঁ দিকে) ও রামপুরহাটের (উপরে ডান দিকে) রাস্তায়, কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে (নীচে বাঁ দিকে) এবং মুরারইয়ে (নীচে ডান দিকে) ভিড়। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী ইসলাম, কল্যাণ আচার্য, তন্ময় দত্ত
পর পর দু’দিন লকডাউন। তার জেরেই শনিবার বাজার খুলতেই সকাল থেকে ক্রেতার ভিড় পথে। এমনই ছবি দেখা গেল সিউড়ি শহরের কোর্টবাজার এবং সিউড়ি সাঁইথিয়া বাইপাস এলাকায় আনাজের বাজারে। বোলপুর ও রামপুরহাটেও ছবিটা ছিল একই।
সিউড়ি শহরের আনাজ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অন্য সপ্তাহের শনিবার ও রবিবার বাজার কিছুটা হালকা থাকে। তবে, এ দিন ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছিলেন। আর সেই ভিড় বেলা বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ছিল। বিক্রেতাদের দাবি, পর পর দু’দিন লকডাউন ছিল। সেই কারণেই বাজার খুলতেই ক্রেতারা হাজির হয়ে পড়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, লকডাউনের আগের দিন অর্থাৎ বুধবারও বাজারে ভাল ভিড় ছিল। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে পণ্য সামগ্রী মজুত রাখার একটি প্রবণতা ছিল। সেটি এখন আর নেই। তাই বুধবার বাজারে ভিড় হলেও সেই ভিড় ছিল দু’দিন বাজার বন্ধ থাকার। শনিবার বাজার খুলতেই আবারও ব্যাপক ভিড় হয়েছে।
এ দিন সকালে সিউড়ির কোর্টবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ব্যাপক ভিড়। আনাজ ব্যবসায়ী সেখ আনারুল, বীরু আলি বলেন, ‘‘ভিড় অনেকটাই বেশি। সাধারণত শনিবার বাজারে এত ভিড় হয় না। তবে লকডাউনের কারণে এ দিন ব্যাপক ভিড় হয়েছে।’’ ক্রেতারা বলেন, ‘‘দু’দিন বাজার বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে আনাজ শেষ হয়ে আসছিল। তাই বাজার খুলতেই হাজির হয়েছি।’’
রামপুরহাট, বোলপুর এবং মুরারইয়ের বাজারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। রামপুরহাটে শহরে বড়হাটতলা, ডাকবাংলোপাড়ায়, ভাঁড়তলাপাড়া ও রেলপাড় এই চারটি বাজার রয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই সব বাজারে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় ছিল। ব্যবসায়ীদের দাবি, অত্যাধিক চাহিদার জন্য অন্য দিনের তুলনায় এ দিন অনেক আগে সামগ্রী শেষ হয়ে যায়। মুরারই ও বোলপুরের বাজারেও একই চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতাদের একটাই দাবি, পর পর দু’দিন লকডাউন থাকায় বাজারে ক্রেতার ভিড় অনেক বেশী ছিল।
টানা দু’দিন লকডাউন হওয়ায় চাহিদা মত আনাজের আমদানি অবশ্য ছিল না। তাই অনেকটা চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ কাঁচা আনাজ। যেমন, লকডাউনের আগে রামপুরহাট বাজারে টোম্যাটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হত। সেখানে এ দিন দাম হয়েছে ৮০ টাকা। পটল যেখানে আগে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল সেখানে এ দিন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতাদের থেকে জানা গিয়েছে, টোম্যাটো, পটল, কাঁচা লঙ্কা, ঢেঁড়স-সহ বিভিন্ন আনাজের আমদানি অনেকটাই কম ছিল। রামপুরহাটে ডাকবাংলোপাড়া বাজারের বিক্রেতা আনারুল সেখ বলেন, ‘‘সকালে কিছু আদা ও লঙ্কা নিয়ে এসেছিলাম। এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত কিছু বিক্রি হয়ে যায়।’’ বোলপুর বাজারের বিক্রেতা রাজেশ সাউ, সেখ সাদ্দাম, সঞ্জীব সাউ বলেন, ‘‘বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্রেতারা বাজারে এসেছিলেন। বেশিরভাগ জিনিসই একবেলার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy