সতর্ক: গ্রামে ঢোকার মুখে বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ করল শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বল্লভপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা। বুধবার সকাল থেকেই ওই গ্রামে লোক ঢোকা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, লকডাউন হলেও গ্রামে তার কোনও প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। তাদের আরও অভিযোগ সরকারি নির্দেশ না মেনে রাস্তা দিয়ে যে যার মতো করে গ্রামে ঢুকছেন। শুধু গ্রামের লোকই নয় বাইরে থেকেও বহু লোক গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করছেন। তাঁদের আশঙ্কা, এতে যে কোনও সময় যে কারোর মধ্যে দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পরেই গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার বিকেলে সকলে মিলে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেন গ্রামের স্বার্থে তথা গ্রামবাসীদের স্বার্থে বাইরের কোনও লোককে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গ্রামের কোনও লোককে গ্রাম থেকে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পর গ্রামে ঢেঁড়া পিটিয়ে সকল গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো আমার কুটির থেকে বল্লভপুর গ্রাম ঢোকার রাস্তা, শ্রীনিকেতন থেকে বল্লভপুর গ্রাম যাওয়ার রাস্তা-সহ গ্রামে ঢোকার তিনটি মূল রাস্তায় আড়াআড়ি বাঁশ বেঁধে অস্থায়ী চেকপোস্ট তৈরি করে মঙ্গলবার রাত থেকেই বহিরাগতদের গ্রামে ঢোকার পথ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার রাত থেকে গ্রামবাসীদের কাছেও বাড়িতে থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
গ্রামের কিছু মানুষকে সকালবেলায় বাজার-হাট করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাকি কাউকেই গ্রাম থেকে বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামবাসীদের এই সিদ্ধান্তের কারণে গ্রামে একটি বিবাহের ও একটি নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ রয়েছেন, তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। গ্রামবাসীর তরফ থেকে র্থ সংগ্রহ করে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। গ্রামবাসী সুকান্ত সাহা, মৃত্যুঞ্জয় সাহা, গোপাল দাস, মানস দত্তরা বলেন, ‘‘যতদিন না পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাসের কোনও রকম বিপদের আশঙ্কা নেই জানানো হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা গ্রামের ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেব না ও গ্রামের কাউকে বাইরে বের হতে দেব না। আমরা চাই মানুষ ঘরে থেকে সুস্থ থাকুন।’’
বুধবার ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরেও গ্রামের বাইরে বেড়া দেন বাসিন্দারা। বেড়ার গায়ে লটকে দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিও। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, করোনা সংক্রামণ রুখতে বহিরাগতদের গ্রামে ঢোকা ও অপ্রয়োজনে গ্রাম থেকে বেরোনো রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy