গ্রামবাসীকে বোঝাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
একের পরে এক অপমৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পুঞ্চার বাউরিপাড়ায়। নেপথ্যে ‘অশুভ শক্তির’ ছায়া দেখছেন কেউ কেউ। খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে গ্রামে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। তাঁরা কুসংস্কার বিরোধী প্রচার চালান গ্রামে। গ্রামবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘অশুভ শক্তি’ বলে কিছু হয় না। ‘ভীতি’ থেকেই ছড়াচ্ছে ‘অশুভ শক্তির’ আতঙ্ক। বিজ্ঞান মঞ্চের প্রচারে ছিলেন পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মলয় হালদার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দেড়েক আগে অপমৃত্যু হয়েছিল বাউরিপাড়ার বাসিন্দা কানু বাউরির। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন তিনি। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই এলাকারই বিদ্যুৎ ভুঁইয়া নামে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। কীটনাশক খেয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সেই দাবির সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশ জানিয়েছেন, গ্রামের আর এক বাসিন্দা সম্প্রতি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে কয়েকজন দেখে ফেলায় তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক সরকারি চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সম্প্রতি বাউরিপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা হয়, এলাকায় পরপর অপমৃত্যুর পিছনে অশুভ শক্তির হাত রয়েছে। স্থানীয় এক ওঝার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘নিকট আত্মীয়ের অপমৃত্যু হলে বা এলাকায় পরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে অনেকের মনেই প্রতিক্রিয়া হয়। এটা এক ধরনের মানসিক রোগ। এই পরিস্থিতিতে দুর্বল মনের মানুষের মধ্যে অনেক সময় আত্মহননের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু কাউন্সেলিং হলে সুস্থ করা যায়।’’
এ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘ ওঁরা অহেতুক ভয় পাচ্ছেন। ওঁদের ভয়মুক্ত করা দরকার ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy