নিজস্ব চিত্র
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মরদেহ নিয়ে এলাকায় মিছিল করল কংগ্রেস। পোস্টার হাতে ওই মিছিলের পুরোভাগে দেখা গেল মহিলাদের। পোস্টারে লেখা, ‘নিরঞ্জন বৈষ্ণব অমর রহে’। নিরঞ্জনের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে এই মিছিলেন নেতৃত্বে দিলেন পুরুলিয়া জেলার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঝালদা বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসা হয় নিরঞ্জনের দেহ। আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন নেপাল-সহ ঝালদার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ঝালদা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ওই মিছিল যায় নিরঞ্জনের বাড়ি পর্যন্ত। মিছিল থেকে নেপাল বলেন, ‘‘তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। সিবিআই নিজের মতো করে চলবে। তপনের খুনে আমাদের সিবিআই তদন্তের দাবি মেনে নিয়েছে আদালত। আমরা চাই, নিরঞ্জনের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্ত হোক।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘নিরঞ্জনের মৃত্যুর পর যে সুইসাইড নোটটি পাওয়া গিয়েছে, তাতেও পুলিশের তরফ থেকে চাপ দেওয়ার কথা রয়েছে। ওঁর (নিরঞ্জনের) মোবাইলটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। পুরোটাই তদন্ত করে দেখা উচিত। আমাদের ধারণা, সিবিআই সবটাই দেখবে।’’
গত ১৩ মার্চ বিকেলে খুন হন তপন। কংগ্রেস কাউন্সিলরের বৈকালিক ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফাল। বুধবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেই নিরঞ্জনের দেহ। পাশে মিলেছে সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা , ‘যে দিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনও রকমে বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না... তার উপর পুলিশের বার বার ডাক।’ তবে তাঁর মৃত্যুতে কারও প্ররোচনা নেই বলেই লেখা নোটে— ‘আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ...সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা নেই।’ এ নিয়ে নেপাল বলেন, ‘এই আত্মহত্যা এবং সুইসাইড নোট থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, পুলিশের অত্যাচার কোন জায়গায় পৌঁছেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy