ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা-মামলার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু তারা এখনও তদন্ত শুরু করেনি বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এ বার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুরুলিয়া জেলার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। সোমবার হাই কোর্ট ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনার পর মাঝে একটা দিন কেটে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, বুধবার সকালে তপন হত্যার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। নেপালের ক্ষোভ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘গড়িমসি’ না করলে এমনটা ঘটত না। যদিও বুধবার দুপুরে সিবিআইয়ের একটি দল রামপুরহাট থেকে ঝালদার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৩ মার্চ বিকেলে খুন হন তপন। কংগ্রেস কাউন্সিলরের বৈকালিক ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফাল। বুধবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেই নিরঞ্জনের দেহ। তা নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি নেপাল। নিরঞ্জনের মৃত্যু নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি একটা ব্যাপারে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। তিন দিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল আসেনি এখানে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর সকলেই স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল। সিবিআই গতকাল চলে এলে এই ঘটনা ঘটত কি না সন্দেহ।’’
বুধবার নিরঞ্জনের দেহের কাছে মিলেছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা , ‘যে দিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনও রকমে বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না... তার উপর পুলিশের বার বার ডাক।’ তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও লিখেছেন ওই সুইসাইড নোটে। তাতে লেখা, ‘আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ...সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা নেই।’ এ নিয়ে নেপালের প্রতিক্রিয়া, ‘এই আত্মহত্যা এবং সুইসাইড নোট থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, পুলিশের অত্যাচার কোন জায়গায় পৌঁছেছে।’’