এই রাস্তা সংস্কারের দাবি ঘিরেই বিতর্ক বাধে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
দু’পাশে আদিগন্ত ধানখেতের মাঝে সরু ফিতের মতো সোজা চলে গিয়েছে সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা রাস্তাটি। এটাই গ্রামের প্রধান রাস্তা। দু’দিন বৃষ্টি হয়নি বলে মাটির রাস্তায় কাদাটুকু শুধু নেই। কিন্তু, একঝলক দেখলেই মালুম হয় সিউড়ি ২ ব্লকের দমদমা পঞ্চায়েতে মাজিগ্রাম থেকে সাঁইথিয়ার হাতোড়া যাওয়ার মূল রাস্তার বেহাল অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বৃষ্টি হলে সাইকেলেও যাওয়া যায় না।
বুধবার তৃণমূলের কর্মিসভায় এই রাস্তা সংস্কারের দাবি ঘিরেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বুথ সভাপতি গণেশ রায়। সেই গণেশবাবুর সঙ্গে এ দিনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গ্রামবাসী অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেছেন, ‘‘আমরা বুধবার দেখতে পেয়েছি তৃণমূলের আসল রূপ। এক বুথ সভাপতি সাহস করে নিজের এলাকার সমস্যার কথা নেতৃত্বকে বোঝাতে গিয়ে অপমানিত হলেন। এর থেকে প্রমাণিত হয় তৃণমূল কাউকে সম্মান দিতে জানে না।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাজিগ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রাম প্রবেশের মুখে রাস্তা কিছুটা চওড়া হলেও, গ্রাম শেষ হতেই রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে। গ্রামের ঢোকার আগেই পথ চলতি এক ব্যক্তিকে মাজিগ্রাম থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার রাস্তার কথা জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, ‘‘মাজিগ্রাম থেকে মাটপলশা হয়ে সাঁইথিয়া যেতে হবে।’’ কিন্তু, সরাসরি যে রাস্তা সাঁইথিয়া হাতোড়া যাচ্ছে, সেটি কোন দিকে জিজ্ঞাসা করতে উত্তর এল, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে মোটরবাইকে যেতে পারবেন না। পড়ে যাবেন।’’
গ্রামবাসীর দাবি, ওই রাস্তা দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। মাঝে মধ্যে পাথরগুঁড়ি, মোরাম দেওয়া হয়। তাতে লাভের লাভ কিছু হয় না। বৃষ্টি হলে গ্রাম দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। রাস্তার দু’পাশ কাদায় ভরে যায়। জল জমে থাকে। স্থানীয়দের দাবি, বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতেও মানুষ ভয় পান। অনেকে পিছলে পড়েছেন। নিত্যদিনই টোটো আটককে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর দাবি, রাস্তা সংস্কার হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটে সহজেই সাঁইথিয়া যাওয়া যায়। সেখানে এখন প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তাই রাস্তা সংস্কার করা হলে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে যাবে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন বাগদি, বিপদতারণ বাগদি বলেন, ‘‘রাস্তাটা যত দিন যাচ্ছে, তত খারাপ হচ্ছে। আগে তাও সাইকেল নিয়ে যাওয়া যেত। এখন সেটাও যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy