Advertisement
০৬ জুলাই ২০২৪
Pond Encroachment

পুকুরপাড়ে নির্মাণ, রুখে দিল প্রশাসন

ভূমি দফতরের নথিতে ‘পুকুর’ হিসেবেই উল্লেখ রয়েছে। ওই পুকুরের পাড়ে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ চলছিল। যে জমিতে নির্মাণকাজ চলছে, তা বাস্তুজমি নয়।

ভাটবাঁধের পাড়েই পাঁচিল দেওয়ায় বিতর্ক।

ভাটবাঁধের পাড়েই পাঁচিল দেওয়ায় বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪২
Share: Save:

ফের পুকুরপাড় দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠল। পুরুলিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটবাঁধের ঘটনা। মঙ্গলবার পুরসভা, প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

এ দিন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি, পুরুলিয়া ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তারক চৌধুরী ও পুরুলিয়া সদর থানার আইসি শিবনাথ পাল যৌথ ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভূমি ও ভূমি সংস্কার অধিকারিক জানান, পুকুরটি ভাটবাঁধ মৌজায় রয়েছে। ভূমি দফতরের নথিতে ‘পুকুর’ হিসেবেই উল্লেখ রয়েছে। ওই পুকুরের পাড়ে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ চলছিল। যে জমিতে নির্মাণকাজ চলছে, তা বাস্তুজমি নয়। ওই জমিতে নির্মাণের কোনও অনুমতিও ভূমি দফতর দেয়নি। পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “কোনও জমির চরিত্র বদল করতে ব্লক স্তরে যে কমিটি রয়েছে, তার অনুমোদন প্রয়োজন। ওই কমিটিতে মৎস্য দফতরের আধিকারিক, সংশ্লিষ্ট ব্লক ও ভূমি দফতরের আধিকারিক থাকেন। পঞ্চায়েত বা পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান বা পুরপ্রধানও কমিটির সদস্য। জমির চরিত্র বদলের প্রয়োজনে ওই কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে সুপারিশ করেন। এ ক্ষেত্রে ওই কমিটিরও কোনও সুপারিশ নেই।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাটবাঁধ নামে পরিচিত ওই পুকুর স্থানীয়েরা ব্যবহার করেন। স্থানীয় চন্দন চক্রবর্তীর কথায়, “পাড় বরাবর পুকুরে মাটি ফেলার প্রতিবাদ করেছিলেন বাসিন্দারা। হইচই শুরু হতে কাজ বন্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি পুকুরপাড় জুড়ে ফের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।” এলাকার তৃণমূল নেতা বিভাসরঞ্জন দাস জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুকুরটি কোনও ভাবে বোজাতে দেওয়া যাবে না।

পুরপ্রধান বলেন, “পুকুরপাড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছিল। পাঁচিলের কিছুটা অংশে পলেস্তরাও পড়েছে। কিন্তু পুকুরের আল বা পাড়ও তো পুকুরেরই অংশ। আমরা কাজ বন্ধ করেছি। ওখানে নির্মাণের কোনও অনুমতি রয়েছে কি না, সেই নথি-সহ ওই বাঁধ বা পুকুরের জমির মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, কোনও ভাবে জলাভূমি বোজানো যাবে না। ভূমি দফতরের কাছ থেকে ওই পুকুর সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রেকর্ডে পুকুর বলেই উল্লেখ রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি দেখা যায়, বেআইনি ভাবে নির্মাণ চলছিল, পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হবে। চেষ্টা করেও এ দিন পুকুরের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pond Encroachment encroachment purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE