বিষ্ণুপুরের নেতাজি নগরের কাছে একটি হিমঘরে। নিজস্ব চিত্র
হিমঘর থেকে আলু বার করার জন্য সরকার নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিন ছিল সোমবার। সূত্রের খবর, এ দিন বাঁকুড়ার প্রায় কোনও হিমঘরই খালি হয়নি। জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক মহম্মদ আকবর আলি বলেন, “হিমঘর মালিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আলু বার করতে না পারার জন্য তাঁরা কর্মিসঙ্কটের কথা বলেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিমঘর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
হিমঘর মালিক সমিতির জেলা সভাপতি দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারকে আগেই জানিয়েছি, এত কম সময়ের মধ্যে সব আলু বার করা সম্ভব নয়। জেলার ৪৭টি হিমঘরে এই মুহূর্তে আড়াই হাজার টন আলু মজুত রয়েছে। সব হিমঘরে পর্যাপ্ত কর্মীও নেই। হিমঘরের মালিকেরা ঠিক করেছেন, দ্রুত আলু বার করে নেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।”
বিষ্ণুপুর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হিমঘরের চেয়ারম্যান পার্থ মণ্ডল বলেন, “হিমঘরে এখনও ২৯ হাজার প্যাকেট আলু রয়েছে। দৈনিক তিন-চার হাজার প্যাকেট বেরোচ্ছে। যা পরিস্থিতি, তাতে এখনও অন্তত দশ দিন সময় লাগবে সব আলু বার করতে।”
এ দিকে, এ দিন হিমঘরে আলুর দর কিছুটা কমেছে। সূত্রের খবর, সোমবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হিমঘর থেকে জ্যোতি আলু কেজিতে ৩০-৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে খোলা বাজারে এ দিনও আলুর দর ৪০ টাকার উপরেই রয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষজন। বাঁকুড়ার অরবিন্দনগরের বাসিন্দা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেবল সুফল বাংলায় ভর্তুকিযুক্ত আলু বিক্রি করেই দায় সারতে পারে না সরকার। অবিলম্বে জেলার বাজারগুলিতে আলুর দর নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ করা হোক। তা না হলে, মধ্যবিত্ত মানুষজনকে উপোস করতে হবে।”
জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকের অবশ্য দাবি, “হিমঘরে দর পড়ার প্রভাব খোলা বাজারে আসতে দু’-এক দিন সময় লাগে। কারণ, অনেক ব্যবসায়ীর কাছেই পুরনো দরে তোলা আলু থেকে যায়।’’ তাঁর আশ্বাস, শীঘ্রই খোলা বাজারে আলুর দর কমবে। পরিমাণে অল্প হলেও, ইতিমধ্যেই জলদি আলু বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে, দর নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশও। মাওবাদী নামাঙ্কিত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy