• জনবসতি, দোকান-বাজার বেড়েছে। রাস্তা সংকীর্ণ হয়েছে। যানজট কাটাতে কী ভাবছে পুরসভা?
বাপ্পাদিত্য মণ্ডল, সোনামুখী কলজের টিচার-ইনচার্জ
পুরপ্রধান: শহরের চৌমাথার মোড়ে ৪০০ মিটার এলাকার রাস্তা ২৫ ফুট চওড়া করা হবে। জেলাশাসকের দফতরে পূর্ত, ভূমি রাজস্ব এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু হবে বর্ষার পরে। ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বাইপাসের কাজে অনেক সময় আর টাকা লাগবে। তাই আপাতত দু’টি মিনি বাইপাস তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
• ব্যবসায়ীরা ট্রাকে মালপত্র এনে নামাবার জায়গা পান না। গলিও দখল হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কি পুরসভার চোখে পড়েছে?
মলয় পাল, ওয়ার্ড ১২
পুরপ্রধান: আধুনিক উন্নত বাজার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। সেখানে আন্ডার গ্রাউন্ড গ্যারাজ থাকবে। মালপত্র নামানোর জন্য সেই গ্যারাজ ব্যবহার করা যাবে। নামাবার জন্য আপনারা সেই গ্যারেজ ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি, গলি যাতে বেদখল না হয় সে জন্য পুরসভা ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করেছে।
• শহরের হাসপাতালটি জরাজীর্ণ। উন্নয়নের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
কাঞ্চন নন্দী, ওয়ার্ড ১
পুরপ্রধান: চিকিৎসকের অভাবের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি র পরিকল্পনা রয়ছে। ওই খাতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• শহরে রয়েছে টেরাকোটার শ্রীধর মন্দির। এখানে জন্মেছেন হরনাথ ঠাকুর। এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে সংগ্রহশালা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে কি?
রামপ্রসাদ বিশ্বাস, ওয়ার্ড ১৩
পুরপ্রধান: আমরা এই প্রসঙ্গে একটি তথ্যচিত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছি। সংগ্রহশালার বিষয়টিও ভাবনা-চিন্তা করে দেখা হবে।
• পানীয় জলের সমস্যায় এখনও শহরবাসী জেরবার। নতুন জল প্রকল্পের কাজ কত দূর?
মনোরঞ্জন চোঙরে, ওয়ার্ড ২
পুরপ্রধান: জুলাইয়ের শেষ দিকে নতুন প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ শুরু করে দেওয়া যাবে। আশা করি, তার পর আর জলের সমস্যা থাকবে না।
• শহরের রাস্তায় শৌচালয় নেই। এর ফলে পথ চলতি মানুষজনকে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। পুরসভা কী ভাবছে?
সুশান্ত দত্ত, ওয়ার্ড ১১
পুরপ্রধান: বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে অধিকাংশ এলাকায় শৌচালয় গড়া যাচ্ছে না। রথতলা ও হাড়ি হাটতলায় শৌচালয় তৈরি হয়েছে। অন্য এলাকায় জায়গার সন্ধান চলছে।
• এই শহরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু কোনও স্টেডিয়াম নেই। বাচ্চাদের খেলার জায়গাও নেই। অথচ জেলার অন্যান্য শহরে এই সব সুবিধা রয়েছে। পুরসভার এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কী?
অংশু চট্টোপাধ্যায়, ওয়ার্ড ৫
পুরপ্রধান: শহরের একটি ক্লাব স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু করেছে। আউটডোর ও ইন্ডোর স্টে়ডিয়াম গড়ে তোলার জন্য পুরসভা ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। মাঠের জন্য দেওয়া হয়েছে ১০ লক্ষ। শিশু উদ্যান একটি রয়েছে। আরও একটি গড়ে তোলার জন্য সাংসদ তলবিলের ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বনদফতরের সঙ্গে জায়গার জন্য কথা বলা হবে।
• শহর বাড়ছে। বাড়ছে দোকানপাট। কিন্তু আগুন লাগলে দমকলের জন্য ভরসা বাঁকুড়া বা বিষ্ণুপুর। অতখানি পথ পেরিয়ে দমকল পৌঁছনোর আগেই সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। শহরে দমকলকেন্দ্র কবে হবে?
বিজয় ঘোষাল, ওয়ার্ড ৩
পুরপ্রধান: দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ওই দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই কোনও খবর পাওয়া যাবে।
• রাত ১১টার পরে শহরের সমস্ত ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বহু মানুষ অসুবিধায় পড়েন। একটি দোকানও কি খোলা রাখা যায়না? বেআইনি মদ বিক্রিতেও নজরদারি বাড়ানোর কথা ভাব হচ্ছে কি?
রবিশঙ্কর সিদ্ধান্ত, ওয়ার্ড ২
পুরপ্রধান: রাতে কিছু ওষুধ দোকান খোলা রাখা নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা চলছে। আর বেআইনি মদের বিষয়টি আবগারি দফতরের দেখার কথা। ওদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।
•গার্লস হাইস্কুলের গেটের একেবারে সামনে বাস থামে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। বিষয়গুলির দিকে পুরসভার নজর দেওয়া দরকার।
শিবাণী চট্টোপাধ্যায়, ওয়ার্ড ৫
পুরপ্রধান: সোনামুখী শহর শান্তিপূর্ণ। মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব নিয়ে কোনও অভিভাবক আমাদের কাছে আসেননি। আপনার থেকে প্রথম এই বিষয়টি শুনলাম। পুলিশকে দেখতে বলব। আর বাস যাতে স্কুল গেটের থেকে একটু দূরে দাঁড়ায় বাস মালিক সমিতিকে সেই ব্যাপারে লিখিত ভাবে জানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy