মাঠ ভরে রয়েছে ফুলকপিতে। নিজস্ব চিত্র
দাম মিলছে না। মাঠের কপি মাঠেই পড়ে রয়েছে। বুধবার নলহাটি ব্রাহ্মণী নদীর তীরে চামটি বাগান, তৈলপাড়া, মিঞাপুরের মতো বিভিন্ন গ্রামে চাষের জমিতে এমনই ছবি দেখা গেল। চাষিদের একাংশের বক্তব্য, এ বছর সে ভাবে কপির দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
চাষিরা জানান, চাষের জন্য বীজ, সার, জল, শ্রমিক মিলিয়ে কপি পিছু সাত থেকে আট টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে একটি কপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র চার টাকায়। জমিতে বাজারে কপি নিয়ে যেতে যে খরচ হচ্ছে তাই জুটছে না। বাধ্য হয়ে জমির ফসল জমিতে নষ্ট হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় উর্বর জমিতে কপি চাষ ভাল হয়। কপি সংরক্ষণের ভাল পরিকাঠামো নেই। এ সব সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
চামটি বাগান গ্রামের অজয় লেট, সুবীর ঘোষ, অমল ঘোষরা বলেন, ‘‘ফুলকপি চাষ করে এই বছর লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। মহাজনের থেকে টাকা ধার করে অনেকে চাষ করেছেন। কপির যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে শ্রমিক দিয়ে জমি থেকে কপি তুলে আনাজ বাজার নিয়ে যেতে যে খরচ হচ্ছে তা পাওয়াই যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে জমির ফসল জমিতেই রেখে দিয়েছি। অনেক চাষি আবার জমির কপি কেটে ফেলে দিচ্ছেন। অনেকে আবার গরুকে খাইয়ে দিচ্ছেন। কৃষি দফতর আমাদের মতো চাষিদের জন্য কিছু করেনি।’’
নলহাটি বাজারে এক আড়ত মালিক কুদ্দুস আলি বলেন, ‘‘কপির চাহিদা রয়েছে। তবে আমদানি বেশি হওয়ায় কপির দাম কম রয়েছে। দাম কম থাকায় চাষিদের সমস্যা হচ্ছে।’’ বিডিও (নলহাটি ১) মধুমিতা ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে চাষিদের সমস্যা দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy