প্রতীকী ছবি।
বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে হলে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুরারই-২ ব্লকের নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন উপভোক্তা এক বিধবা। জানিয়েছেন স্থানীয় বিডিওকেও। এ নিয়ে এলাকা সরগরম হলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য ইমাম হোসেন।
অভিযোগ করেছেন রশিদা বেওয়া। তিনি ওই পঞ্চায়েতের কাঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে বাংলা আবাস যোজনায় একটি বাড়ি পান। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে আমার জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়। বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালে তিনি আমাকে পরামর্শ দেন, সেইমতো কাগজ জমা দিলে প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়েও যাই। সেই টাকায় বাড়ির অর্ধেক কাজ হয়। কিন্তু বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি রয়েছে তাতেই গোল বাধে। বিষয়টি পঞ্চায়েত সদস্য ইমাম হোসেনকে জানালে তিনি পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে পঞ্চায়েত গড়িমসি করছে। এমনকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে সমস্যা হবে বলেও।’’
যদিও ইমাম হোসেনের বক্তব্য, “আমি কারও কাছে টাকা চাইনি। ওই মহিলার এক আত্মীয়ই টাকার টোপ দিয়েছিলেন। সেই ফোনের কল রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি অন্যায় করি না বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ হয়েছে।’’
মুরারই ২-এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, “এক মহিলার থেকে অভিযোগ পেয়েছি, জমি সংক্রান্ত জটিলতার জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকেনি বলে। তবে পঞ্চায়েতকে বলেছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে হবে। পঞ্চায়েত সদস্য টাকা চেয়েছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy