নিঃসাড়: মুকুটমণিপুরের কাছে বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে। নিজস্ব চিত্র
তারের বেড়ার বাইরে, জলাধারের কাছে মিলল তিনটি হরিণের দেহ। মাংস খুবলে নেওয়া ক্ষত শরীরে। বৃহস্পতিবার সকালে রানিবাঁধের বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্কের ঘটনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান রানিবাঁধ রেঞ্জের আধিকারিক ভাবনা লামা। পরে যান ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) বিজয় কুমারও। তিনি বলেন, ‘‘ডিয়ার পার্কের চার দিকে তারের বেড়া দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও বেড়ার বাইরে বেরিয়ে হরিণগুলির কী ভাবে মৃত্যু হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, হরিণগুলির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হচ্ছে।
এ দিন ডিয়ার পার্কে গিয়ে দেখা গেল, পুরনো তারের বেড়া বেশ কয়েক জায়গায় কেটে ফাঁক হয়ে রয়েছে। পার্কের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৪৪ হেক্টর জমিতে ১৯৮২ সালে বেড়া দেওয়া হয়েছিল। তার পরে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় কিছু জায়গা ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে। একটু আঘাত করলেই ভেঙে যায়। সেখান দিয়ে হামেশাই কুকুর আর বুনো শুয়োর ঢুকে হারিণগুলিকে তাড়া করে বলে অভিযোগ।
ডিয়ার পার্ক সূত্রের খবর, সেখানে এখন ৯৫টি হরিণ রয়েছে। স্থায়ী কর্মী ছিলেন দু’জন। অতি সম্প্রতি এক জন অবসর নিয়েছেন। এক জন স্থায়ী এবং এক জন অস্থায়ী বনকর্মী মিলে পুরো এলাকা সামলে উঠতে পারছেন না বলে সূত্রের দাবি।
এ দিন কংসাবতী জলাধার পেরিয়ে বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্কে গিয়ে দেখা গেল, জলাধারের কাছেই পাশাপাশি দু’টি হরিণের দেহ পড়ে রয়েছে। পিছনের দিকে খুবলে নেওয়া হয়েছে মাংস। প্রায় ৫০০ মিটার দূরে পড়ে অন্য হরিণটির দেহ। সেটির কানের পাশে, গলায় আর পায়ে আঘাতের চিহ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কৃত্তিবাস সিংহ সর্দার, বিদ্যাধর মণ্ডল, পশুপতি পালেরা জানান, মুকুটমণিপুরে বেড়াতে আসা প্রচুর মানুষজন নৌকায় জলাধার পেরিয়ে বনপুখুরিয়ায় আসেন। নৌকাঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পার্ক। ট্রলি, ভ্যান চালিয়ে অনেকের রুজিরুটির সংস্থান হয়। তাঁদের কথায়, ‘‘পর্যটকদের কাছে ডিয়ার পার্কের গুরুত্ব কমে গেলে এলাকার প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়বেন। হরিণের মৃত্যুর বিষয়টি বন দফতরের গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy