প্রতীকী ছবি।
এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর সেতু সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে। খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ নিহতের খুড়তুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার সকালের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রাজীব দেওঘরিয়া (২৮) এক্তেশ্বরের বাসিন্দা। রাজীবের দাদা সঞ্জয় দেওঘরিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে, তাঁর খুড়তুতো দাদা জয়দেব দেওঘরিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “জয়দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজীবকে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তখন রাজীবের দেহে প্রাণ নেই। স্থানীয়েরা পুলিশ-কুকুর নিয়ে গিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি তোলেন।
ঘটনা স্থলে যান বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) বিবেক বর্মা, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) বিশ্বজিৎ নস্কর। পুলিশ-কুকুর নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করা হয়। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত জয়দেব সেখানেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে।
অভিযোগকারী সঞ্জয় বলেন, “আমাদের মনোহারি সামগ্রীর দোকান রয়েছে। শনিবার রাত ৯টার পরে ভাই দোকান বন্ধ করে এলাকায় আগুন পোহাচ্ছিল। তার বাড়ি ঢুকতে দেরি হচ্ছে দেখে রাত ১১টার পরে তাকে ফোন করি। তখন ফোন বন্ধ ছিল।” সঞ্জয়ের দাবি, রাজীব হয়ত তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ফিস্ট করছেন ভেবেছিলেন তাঁরা। তাই রাতে আর খোঁজ খবর করেননি। রবিবার সকালে পড়শিরা জানান, রাজীবকে খুন করা হয়েছে।
জয়দেব সন্দেহের তালিকায় এল কী ভাবে? পুলিশের দাবি, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছে, শনিবার রাত প্রায় এগারোটা পর্যন্ত জয়দেব ও রাজীবকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সঞ্জয় বলেন, “ভাই জয়দেবের সঙ্গে রাতে ঘোরাঘুরি করছিল বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। তাই অভিযোগে ওর নাম দিয়েছি। এমনিতে আমাদের সঙ্গে ওদের পরিবারের কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল না। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করুক।”
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় কোনও বিষয় নিয়ে রাজীব ও জয়দেবের মধ্যে বচসা বাধে। সেখানেই পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে রাজীবকে খুন করেন জয়দেব।
এ দিন কথা বলার মত অবস্থায় ছিলেন না ধৃত জয়দেবের ভাই ঘনশ্যাম দেওঘরিয়া। শ্মশানে রাজীবের দেহ সৎকারের কাজে তিনিও ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে জয়দেব নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গিয়েছেন। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, শনিবার রাত ৯টার পরেই তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy