Advertisement
E-Paper

অস্ত্র আইনে গ্রেফতার বিজেপি নেতা সহ তিন

ওইদিন দুপুরে ডাক্তারপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে কয়েকজন যুবক চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৯
Share
Save

আটক করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রআইন-সহ জামিন অযোগ্য বেশ কয়েকটি ধারায় গ্রেফতার করা হল বিজেপি’র জেলা কিশান মোর্চার সভাপতি সোমনাথ ঘোষ ও তাঁর দুই অনুগামীকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রামপুরহাট ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তারপাড়া এলাকা থেকে ওই তিনজনকে প্রথমে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সোমনাথ ও তাঁর এক সঙ্গী কার্তিক মণ্ডলের বাড়ি রামপুরহাটের রামরামপুরে। আরেক সঙ্গী অমিত প্রামাণিকের বাড়ি স্থানীয় শান্তিপাড়া এলাকায়। ধৃত কার্তিক এবং অমিত দু’জনেই বিজেপির কিশান মোর্চার সদস্য। ধৃতদের শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে সরকারী আইনজীবী ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানান। বিচারক পরাগ নিয়োগী ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সরকারি আইনজীবী সুরজিত সিংহ বলেন, ‘‘সোমনাথ ঘোষ-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন এবং খুনের চেষ্টা-সহ জামিন অযোগ্য বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, এক রাউণ্ড গুলি, হাতুড়ি, চাবি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একটি নীল-কালো ব্যাগের মধ্যে ওই সমস্ত জিনিস রাখা ছিল। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হলে বিচারক সাত দিন মঞ্জুর করেছেন।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডল বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থানায় অভিযোগ করেন, ওইদিন দুপুরে ডাক্তারপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে কয়েকজন যুবক চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। একজন পিস্তল দেখিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় এলাকার কয়েকজন বাধা দেন। বিকেলেও ওই যুবকেরা অন্য একটি বাড়ির সামনে গালিগালাজ করতে করতে খুনের হুমকি দিতে থাকায় পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছে তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়। বাকিরা পালিয়ে যায়।

পুলিশের দাবি, আটক করার পরে তিনজনের মধ্যে কার্তিকের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল পাওয়া যায়। এক রাউণ্ড গুলি এবং হাতুড়িও পাওয়া যায়। জেরায় কার্তিক জানায় ঝামেলার সময় সোমনাথকে সাহায্য করতেই পিস্তল রেখেছিল সে। যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেন পিস্তল রেখেছিল সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে ধৃতদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে সোমনাথ একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারির পিছনে জেলা সভাপতির ‘নিষ্ক্রিয়তা’কে দায়ি করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি’র জেলা সভাপতি অকর্মণ্য, দলের সংবিধান না মেনে নিজের মত প্রকাশ করে দল চালাচ্ছেন। তাই আমাদের মতো ক্ষুদ্র নেতাদের হাজত বাস করতে হচ্ছে। ওঁরইতো পুলিশ হেফাজতে থাকা উচিত।’’ এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি, ‘‘আমার কাছে ওরা এসেছিল। সিউড়িতে দলের কার্যালয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলব বলে জানিয়েছিলাম। এরপরে রাস্তায় কি হয়েছে আমার জানা নেই। তৃণমূলী চক্রান্তে পুলিশ দলদাস হয়ে বিজেপি কর্মীদের অস্ত্রআইনে গ্রেফতার করেছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’

BJP Arms Act Politics

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।