বিতর্কিত: বিষ্ণপুর হাসপাতাল চত্বরে বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র
বিধানসভায় পদ্ম ফুলের প্রতীকে শ্যাম মুখোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার আর্জি। এক দিকে, ছবি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শ্যামবাবুর। অন্য দিকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। নীচে লেখা— ‘প্রচারে: আমরা দাদার অনুগামী’। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিষ্ণুপুরের মটুকগঞ্জ, হাসপাতাল চত্বর, পার্কের দেওয়ালে এমন বেশ কিছু পোস্টার আর ব্যানার দেখে শহরে শুরু হয়েছে জল্পনা। কিছুটা সময় গড়াতেই উধাও হয় ওই পোস্টার। তবে তার আগেই বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকেরা ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে সমাজ-মাধ্যমে শুরু করেছেন তরজা। শ্যামবাবুর দাবি, ‘‘আমাকে ভয় করছে তৃণমূল। এ ভাবে পোস্টার সেঁটে বিজেপির কাছে অপদস্থ করতে চায়।’’
মঙ্গলবার তালড্যাংরার কিছু জায়গায় একই ভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ন্ত মিত্রের নামে পোস্টার পড়েছিল। ওই ঘটনাতেও বিজেপি আঙুল তুলেছিল তৃণমূলের দিকে। যদিও তা অস্বীকার করে তৃণমূল। খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্তবাবু এবং বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামবাবুর যোগদানের আগে-পরে বিজেপির কিছু কর্মী সমর্থক প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান দিয়েছিলেন। বিজেপির অন্দরে তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা নিয়ে এমনিতেই জল্পনা চলে। কিছু দিন আগে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসে গিয়ে সংবর্ধনা নিয়েছেন শ্যামবাবু। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সকাল ৭টায় আমি পোস্টার সাঁটার খবর পাই। আমাকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরাই পোস্টার তুলে ফেলেছেন।’’
বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডলের সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, “যেখানে-সেখানে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করা বিজেপির অভিধানে নেই। তৃণমূলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” তবে তৃণমূল শিবির ঘটনায় তাদের কোনও রকমের যোগের কথা উড়িয়ে দিচ্ছে। দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “পোস্টার সেঁটে জল মাপা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। শ্যামবাবু আমাদের দল থেকে চলে গিয়ে ভাল হয়েছে। তাঁকে নিয়ে ভাবার অবকাশ অন্তত তৃণমূলের কারও নেই। এটা বিজেপির অন্তর্কলহ ছাড়া আর কিছুই নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy