ধৃত স্বরূপ দত্ত। নিজস্ব চিত্র
পাঁচিল ঘেরা বাগানে পড়ে গিয়েছিল ক্রিকেটের বল। এক তরুণ তা কুড়োতে গেলে প্রথমে তার শ্বাসরোধের চেষ্টা করা এবং পরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই অভিযোগকে ঘিরে তেতে ওঠে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের খড়বাংলা তাঁতিপাড়া এলাকা। এলাকার বাসিন্দারা ওই বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী স্বরূপ দত্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। পরে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় তাঁর দোনলা বন্দুক। অভিষেক লক্ষ্মণ নামে আহত তরুণকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, তার শরীরে গুলি লাগেনি। তবে গলায় কালশিটে রয়েছে। বুকেও আঘাত রয়েছে।
এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী সোমবার বলেন, ‘‘ওই তরুণের মা ঝর্না লক্ষ্মণ রবিবার বিষ্ণুপুর থানায় স্বরূপ দত্তের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ও দু’টি খোল-সহ পাঁচটি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” এ দিন অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী মনোদীপ্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত দাবি করেছেন, কয়েকশো মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরায় তিনি বাঁচতে শূন্যে গুলি ছুঁড়েছিলেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রতিদিনের মতো রবিবারেও পাড়ার কিশোর-তরুণেরা মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। আচমকা বল গিয়ে পড়ে স্বরূপবাবুর বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে। অভিষেক পাঁচিল টপকে বল আনতে গেলে বাড়ির মালিক স্বরূপবাবু তার উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকার ওই তরুণের খেলার সঙ্গীরা। অভিষেকের অভিযোগ, ‘‘ওই বাগানে গাছপালা কিছুই নেই। বল পড়ে গেলে ওই লোকটি দিতে চান না। রবিবার খেলার ঝোঁকে পাঁচিল টপকে বাগানে ঢুকে পড়ি। তার কিছুক্ষণের মধ্যে গেট দিয়ে বাড়ির মালিক বাগানে ঢোকেন। আমি পালাতে গেলে গলা টিপে ধরে মাটিতে ফেলে বুকের উপরে বসে পড়েন। চিৎকার করে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বন্দুক আনকে বলে। ধস্তাধস্তি করে আমি পালাই।’’
তার আরও অভিযোগ, ‘‘সেই সময়েই লোকটা গুলি চালায়। মাথা নিচু করি। না হলে মনে হয় গুলি মাথা ফুটো করে দিত।’’ অভিষেকের মা ঝর্নাদেবী বলেন, “সামান্য একটা বল নিয়ে এমন কাণ্ড কেউ করতে পারে ভাবা যায় না। বাড়িতে বন্দুক আছে বলে এ ভাবে কেউ ব্যবহার করে? ছেলেটা ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছে। আমরা ওই লোকটার
শাস্তি চাইছি।”
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্তের বাড়ি বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy