চলছে তোড়জোড়। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষামূলক ভাবে পার্থেনিয়াম থেকে জৈব সার তৈরি করবে পাত্রসায়র ব্লক প্রশাসন ও কৃষি দফতর। ব্লকঅফিসের একটি ফাঁকা জায়গায় বেশ কয়েকটি গর্ত করা হয়েছে। সেখানেই তৈরি হবে জৈব সার। তৈরি করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
সারা জেলার মতো পাত্রসায়রেও পার্থেনিয়ামের বাড়বাড়ন্ত। রাস্তার ধারে, খেলার মাঠে—সর্বত্র গজিয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েতগুলির তরফে উপড়ে ফেলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এ বার সেই পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর আগাছা থেকে জৈব সার তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে। পাত্রসায়রের সহ-কৃষি-অধিকর্তা রঞ্জন লোহারা বলেন, ‘‘পরীক্ষামূলক ভাবে ব্লক অফিসের ফাঁকা জায়গায় গর্ত তৈরি করে এই জৈব সার তৈরি করা হবে। এর জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে পঁয়তাল্লিশ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’’
তিনি জানান, গর্তের মধ্যে গোবর, ছোট ছোট করে কাটা পার্থেনিয়াম ও বিভিন্ন জৈব বস্তু ফেলে রেখে সার বানানো হবে। সেই সার প্রয়োগ করা হবে ব্লকের নিজস্ব আমবাগান এবং নার্সারিতে। দেখা হবে, কতটা লাভজনক হচ্ছে এই উদ্যোগ। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না। তিনি জানান, এখন পার্থেনিয়াম গাছগুলিতে ফুল এসে গিয়েছে। তাই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
সার তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়া মহিলাদের আশা, এই পদ্ধতি সফল হলে রোজগারের নতুন রাস্তা খুলে যাবে। চাষিরাও উপকৃত হবেন। বেন্দার চাষি মুরারিমোহন সিংহ বলেন, ‘‘জৈব সার প্রয়োজনমতো হাতের কাছে পেলে সুবিধাই হবে।’’ উদ্যোগটি স্থিতিশীল উন্নয়নের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মনে করেন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক রৌম্যতরু গুপ্ত।
বিডিও (পাত্রসায়র) প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, পার্থেনিয়াম নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। তখনই সার তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এই উদ্যোগ কার্যকরী হলে পার্থেনিয়াম নিয়ে সমস্যার সমাধানে নতুন দিশা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy