Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত
Bankura University

পরীক্ষা নয় তিনটি সিমেস্টারে

তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলার বেশ কিছু কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁদের কথায়, প্রথমে ঠিক হয়েছিল পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৯
Share: Save:

স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার এবং স্নাতোকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়ারা পরীক্ষা না দিয়েই পরবর্তী সিমেস্টারে উন্নীত হবেন। সোমবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়।মঙ্গলবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মধ্যবর্তী সিমেস্টারগুলিতে পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তাই কলেজের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।” তিনি জানান, ওই সিমেস্টারের পড়ুয়ারা তাঁদের পূর্বতন সিমেস্টারের এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের গড় নম্বরের ভিত্তিতে নম্বর পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের প্রায় ২৭ হাজার পড়ুয়া ও স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় সিমেস্টারে প্রায় ৭৫০ জন পড়ুয়া রয়েছেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তটি পড়ুয়াদের জানানো হবে।

তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলার বেশ কিছু কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁদের কথায়, প্রথমে ঠিক হয়েছিল পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবার মত পরিবর্তন করে সমস্ত কলেজকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়। সেই প্রস্তুতি পর্ব চলাকালীনই সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলার একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “পুজো পর্বের মধ্যেও আমরা কলেজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পড়ুয়াদেরও সেই মতো প্রস্তুতি নিতে বলেছিলাম। কিন্তু বারবার মত বদলের ফলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ যেমন সমস্যায় পড়ছে, পড়ুয়াদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”উপাচার্য বলেন, “পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ কী রয়েছে তা নিশ্চিত না হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে না। চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পরে আমরা গত এপ্রিল ও জুলাই মাসের নির্দেশিকা খুঁটিয়ে দেখে জানতে পারি, মধ্যবর্তী সিমেস্টারগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা কিছু ছিল না।” তিনি যুক্ত করেন, “জেলার প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” পরীক্ষা কেন নেওয়া হচ্ছে না? উপাচার্য বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকটি ভেবেই আপাতত পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy