শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো এ বার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বাঁকুড়া পুরসভাও। —নিজস্ব চিত্র।
শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো এ বার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বাঁকুড়া পুরসভাও। ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে দু’দফায় মাইক প্রচার করে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকান সরিয়ে না নিলে পুর প্রশাসন যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে পুরসভা। এ দিকে সোমবার পুরসভার তরফে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারির পরেও ফুটপাত থেকে নিজেদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার ব্যপারে কোনও উদ্যোগ নজরে আসেনি। উল্টে উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে বলপ্রয়োগ করা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে হকারেরা।
বাঁকুড়া শহরেও হকারদের বিরুদ্ধে ফুটপাত দখলের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কিছু ক্ষেত্রে ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা দোকানও। বাঁকুড়া শহরের চক বাজার, বড় বাজার, দোলতলা বাজার, মাচানতলা, পোস্ট অফিস মোড়, পাম্প মোড়, কাটজুড়িডাঙা, জুনবেদিয়া মোড় ও সতীঘাট এলাকায় এই সমস্যা সব থেকে বেশি। ফলে শহরের রাস্তাঘাটে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে মাঠে নেমেছে পুরসভা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৯ জুন শহরে মাইক প্রচার করে তিন দিনের মধ্যে ফুটপাতের ‘বেআইনি দখলদার!দের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে। তার মাঝে সোমবার ফের এক দফা মাইক প্রচার করে হকার ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর পরেও শহরের ব্যবসায়ী ও হকারেরা ফুটপাত দখলমুক্ত না করলে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।
মঙ্গলবারের পর ফুটপাতে বেআইনি ভাবে থেকে যাওয়া হকার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা স্থির করতে সোমবার বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ আধিকারিক ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পুরসভা। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে বাঁকুড়ার হকারদের ফুটপাত খালি করে কৃষক বাজারে বসার কথা বলা হয়েছিল। কৃষক বাজারে সেই মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এ বারও আমরা হকারদের কৃষক বাজারে চলে যাওয়ার কথা বলেছি। তার পরেও হকারেরা ফুটপাত না ছাড়লে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে বাঁকুড়া পুরসভা।’’
এ দিকে পুরসভার তরফে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা হকারেরা নিজেদের দখলদারি ছাড়তে নারাজ। বাঁকুড়ার মাচানতলায় রেডিমেড পোষাকের হকার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘রাস্তায় পসরা সাজিয়ে বসতে কার ভাল লাগে? নিতান্ত বাধ্য হয়েই আমাদের তা করতে হয়। পুরসভা চায়, আমরা কৃষক বাজারে যাই। কিন্তু সেখানে ক্রেতারা না যাওয়ায় ন্যূনতম ব্যবসাটুকুও হয় না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের ফুটপাত থেকে জোর করে তুলে দিলে আমাদের আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy