পথে পুলিশি নজরদারি জোরদার হতে ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙায় জরিমানার অঙ্কও লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গত জানুয়ারিতে জেলা জুড়ে কয়েক হাজার ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ঘটনায় জরিমানার অর্থ ছাপিয়েছে এক কোটি, খবর বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রের।
বাঁকুড়া পুলিশ ও ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে জেলা জুড়ে প্রায় ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর জন্য। এ ছাড়া, অতিরিক্ত গতি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, সিটবেল্ট না বাঁধার মতো ঘটনাও রয়েছে। জেলা জুড়ে পথ সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। তবে জেলায় দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় গত বছরই পুলিশ কড়া নজরদারির পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী জানুয়ারি মাস থেকে কড়াকড়ি শুরু হয়। জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি ট্র্যাফিক বিভাগের পাশাপাশি প্রতিটি থানাকেও পথে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেন।
চলতি বছরে পথ নজরদারি বাড়াতে পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ। কেউ মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার জন্য রাজ্যের কাছে বেশ কিছু ‘ব্রিদ অ্যানালাইজার’ যন্ত্র চাওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুর-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমানা এলাকায় দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকুড়া-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই স্বয়ংক্রিয় স্পিডোমিটার বসেছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসন যৌথ সমীক্ষাও করতে চলেছে।
তবে পুলিশের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও পথে বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চলাচল, তীব্র বেগে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি বলে দাবি জেলাবাসীর একাংশের। বেশির ভাগ মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আরোহীদের মাথায় হেলমেট দেখা যায় না।
পুলিশ সুপার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য দুর্ঘটনা রোখা ও সড়ক পরিকাঠামো ঠিক রাখা। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষকে ট্র্যাফিক নিয়ে সচেতন করার কাজ চলছে।
পাশাপাশি ট্র্যাফিক ব্যবস্থার পরিকাঠামোও আরও উন্নত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)