এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুব্রতকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।
যাব যাব বলেও হাসপাতালে যেতে রাজি হলেন না বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেল সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রথমে বলেছিলেন, তাঁর শরীর বেশ অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করানোর অনুরোধও তিনি জেল সুপারকে জানিয়েছিলেন। সেই মতো পুলিশ ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয় সংশোধনাগার থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত। পরে অনুব্রতের মত বদলে যাওয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর শরীর এখন কিছুটা ভাল লাগছে। এবং হাসপাতালে যাবেন না। ফলে তাঁকে আপাতত জেলে রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেই জেল সূত্রে খবর।
আসানসোলের সিবিআই আদালতে শুক্রবার শুনানির জন্য ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে নিজের ফিসচুলা সংক্রান্ত সমস্যা এবং সে কারণে হওয়া যাবতীয় কষ্টের কথা বিচারককে জানিয়েছিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত। বিচারক কেষ্টর কষ্টের কথা শুনে তাঁর সঠিক চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এর পর শুনানি শেষে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য ‘গোঁ’ ধরেন অনুব্রত। জেল কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান, তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল নয় এবং দু’দণ্ডও কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না। সেই শুনে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলেন জেল কর্তৃপক্ষ। জেলা হাসপাতালেও খবর পাঠিয়ে সমস্ত বন্দোবস্ত করে রাখা হয়। তবে তাঁকে নিয়ে ব্যস্ততা যখন তুঙ্গে তখন নিজে থেকেই সুর বদলান কেষ্ট। জানান, আগের থেকে সুস্থ বোধ করছেন এবং তিনি আর হাসপাতালে যাবে না। জেলেই থাকবেন।
শুক্রবার বিচারক তাঁর কাছে শরীর কেমন আছে তা জানতে চান। উত্তরে অনুব্রত জানান এমনি ঠিক থাকলেও তাঁকে ফিসচুলার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রত বিচারককে বলেন, ‘‘ফিসচুলাতে যন্ত্রণা রয়েছে। মাঝেমাঝে সেটা বেড়ে যায়। ফিসচুলা বেড়ে গেলে রক্ত পড়ে।’’ অনুব্রতের মুখে এই কথা শুনে বিচারক বলেন, ‘‘জেল কর্তৃপক্ষকে বলে দিচ্ছি, যাতে আপনার ভাল চিকিৎসা করানো হয়।’’ এর আগেও অবশ্য অনুব্রত নিজের ফিসচুলার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy