রাজা ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র।
তিনি বোলপুরের ‘শিবশম্ভু’ চালকলের মালিক নন। ওই চালকলের মালিকানা নিয়ে কোনও তথ্যই তাঁর কাছে নেই। আনন্দবাজার অনলাইনকে ফোনে এমনটাই জানালেন অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ। সোমবার সকালে ওই চালকলেই হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এবং ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা।
‘ভোলে বোম’ চালকলের পর সোমবার সকালে ‘শিবশম্ভু’ চালকলে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় ১০-১২ বিঘা জমির উপর রয়েছে ওই চালকলটি। জল্পনা তৈরি হয়েছে, ওই চালকলের শিবানী ঘোষ নামে এক মহিলার লিজ নেওয়া। ঘটনাচক্রে, রাজার মায়ের নামও শিবানী ঘোষ। এ নিয়ে রাজার বক্তব্য, ‘‘তবে আমার মা যে ওই চালকলের মালিক, তা আমি প্রথম শুনছি। ওই চালকলের মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।’’
বীরভূমের চালকল অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘শিবশম্ভু’ চালকলের ‘কনট্যাক্ট পার্সন’ কমলকান্তি ঘোষ নামে এক জন। কমলকান্তিকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ঘটনাচক্রে রাজার বাবার নামও কমলকান্তি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই চালকল কার তা আমার জানা নেই। আমার বাবার সঙ্গে বা আমার পরিবারের সঙ্গে গত দু’বছর ধরে কোনও যোগাযোগ কোনও নেই।’’ শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লির বাড়ি ছেড়ে বছর দু’য়েক হল বোলপুরে রয়েছেন রাজা। এমনটাই ফোনে জানিয়েছেন তিনি।
রাজার কথায়, ‘‘শিবশম্ভু চালকলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই নেই। কেউ যদি এই দাবি করে থাকেন, তা হলে তা ভুল। আমি ওই মিলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি জীবনে কোনও দিন ওই মিলে পা দিইনি। ওখানে কী আছে, না আছে তা তো আমি জানিই না। ওখানে কেউ দেখেননি আমাকে। আমি একা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে নই। আরও পাঁচ ভাগ্নে আছে।’’ রাজা আরও বলেন, ‘‘আমি এবং আমার স্ত্রী পারমিতা মোহনানন্দ রাইস মিলের ডিরেক্টর।’’
বিভিন্ন জল্পনা এবং সংবাদমাধ্যমে নাম উঠে আসা নিয়ে ক্ষোভের সুরে রাজা বলেন, ‘‘আমার মা বলুন, বা মামা বলুন, তাঁদের আত্মীয় হওয়াটা কি আমার অপরাধ? অনুব্রত মণ্ডলের আরও পাঁচ ভাগ্নে আছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক তো মুছে দেওয়া যায় না। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের হেয় করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy