মুকুটমণিপুর জলাধারে এখন রয়েছে হাতে গোনা কিছু নৌকা। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এ বন্ধ পর্যটন কেন্দ্র। লোকজন নেই মুকুটমণিপুরে। ‘নৌকাবিহার পরিষেবা সমিতি’ তাঁদের নৌকা সরিয়ে ফেলেছেন ফেরিঘাট থেকে। পড়ে রয়েছে হাতেগোনা সাত-আটটি নৌকা। সন্ধ্যার পরে ওই নৌকার উপরেই অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া বসছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
পর্যটকদের আনাগোনা নেই। থাকছেন না ব্যবসায়ীরাও। হোটেল ও লজগুলি দেখভালের জন্য রয়েছেন দু’-একজন কর্মী। তাঁরা হোটেল বা লজ ছেড়ে বাইরে বেরোন না সচরাচর। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা নেশাড়ুদের দখলে চলে যায়। কয়েক জন বাসিন্দার কথায়, ‘‘মদের বোতল ভেঙে পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ নষ্ট করছে কিছু লোকজন। যে কোনও সময়ে ভাঙা বোতল থেকে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’’
মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্র সংলগ্ন ফাঁড়ির পুলিশকর্মীদের দাবি, পর্যটনকেন্দ্রের রাস্তায় সব সময়ে পাহারা থাকে। কিন্তু ফেরিঘাটের নীচের দিকে ওই জায়গায়গুলিতে অসামাজিক কাজকর্ম চলার কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে নেই। এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
নৌকাবিহার পরিষেবা সমিতির সম্পাদক তারাপদ সিং সর্দার জানান, তাঁদের সমিতির ৬২টি নৌকা রয়েছে। ‘লকডাউন’-এ সব ক’টি নৌকা ফেরিঘাট থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা হয়েছে।
তিন চারটি অকেজো ভাঙা নৌকা ও খান তিন-চার মাছ ধরার ছোট নৌকা রয়ে গিয়েছে শুধু। তারাপদবাবু বলেন, ‘‘সেগুলিতে কী হয়, তা আমাদের জানা নেই।’’
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে এই ধরণের খবর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ সন্ধ্যার পরে যাতে পর্যটনকেন্দ্রের ওই জায়গায়গুলিতে নিয়মিত টহল দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy