Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Birbhum

লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের গাফিলতি ছিল, মনে করছেন বগটুই কাণ্ডের সেই আনারুলও

রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ১২ ডিসেম্বর। ওই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়।

বগটুইয়ের আনারুল হোসেন। ফাইল ছবি।

বগটুইয়ের আনারুল হোসেন। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:১৫
Share: Save:

বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কাঠগড়ায় সিবিআই। লালনের মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকেই আঙুল তুলেছে। এ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোলের মধ্যেই লালনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘সিবিআইয়ের গাফিলতি’কেই দায়ী করলেন বগটুইকাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত আনারুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার রামপুরহাট মহকুমা আদালত থেকে বেরোনোর সময় লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আনারুলকে। তিনি বলেন, ‘‘যাদের হেফাজতে ছিল, তাদেরই গাফিলতি।’’

রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ১২ ডিসেম্বর। ওই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগ, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত জন সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা করেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লালনের পরিবারের তরফে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করা হয়েছে, সিবিআই হেফাজতে লালনকে মারধর করেছেন তদন্তকারীরা। দাবি, লালনের পায়ের নীচের দিকে কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ময়নাতদন্তে। সেই চিহ্ন মৃত্যুর আগের চিহ্ন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। তবে সেই সব আঘাতের জন্যই লালনের মৃত্যু হয়েছে, এমন কোনও তত্ত্ব তদন্তকারীরা এখনও পাননি বলেই দাবি সিআইডি সূত্রের।

বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে তদন্তকারীদের একাংশের মনে হচ্ছে, ঝুলন্ত অবস্থায় লালনের মৃত্যু হয়েছে। তার ভিত্তিতেই হেফাজতে থাকা ব্যক্তির নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। তবে সিআইডি-র তরফে সরকারি ভাবে কেউ কিছু বলতে চাননি।

সেই গাফিলতির তত্ত্বেই সায় দিচ্ছেন আনারুল। প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধে সাহায্য ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, ভাদু শেখ খুনের রাতে বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে যখন আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখন গ্রামবাসীরা আনারুলকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশে খবর দিতেও বলেন। কিন্তু আনারুল তাতে গুরুত্বই দেননি। তদন্তকারীদের এ-ও দাবি, আনারুলের এই ভূমিকার জন্যই বগটুইয়ে এত ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। আনারুল সময়মতো পুলিশের দ্বারস্থ হলে বগটুইয়ের ঘটনা ঠেকানো যেত বলে দাবি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশেরও। যদিও আনারুল বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে প্রভাবশালীরা জড়িত বলেও তিনি দাবি করেছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Birbhum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy