নিহত যুবক। নিজস্ব চিত্র
মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে বন্ধুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে পচতে শুরু করা মৃতদেহটিও। ঘটনাটি নানুরের ছাতিনগ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মঙ্গল লোহার (২৮)। বাড়ি নানুরের খুজুটিপাড়ার মিত্রপাড়ায়।
পেশায় রং মিস্ত্রি মঙ্গল গত মঙ্গলবার সকালে কাজে বেরিয়ে গেলেও আর ফেরেননি। বুধবার নিখোঁজের ডায়েরি হয় নানুর থানায়। শুক্রবার ছাতিনগ্রাম থেকে প্রণব মেটে নামে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধৃতকে জেরা করে খুনের বিষয়ে বিশদে জানা যায়। অভিযুক্ত যুবক নিজেই খুনের কথা স্বীকার করে ও ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে কী ভাবে খুন করেছিল তার বর্ণনা দেয়। দেহটিও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।’’ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে অভিযুক্ত যুবক কবুল করেছে, মাত্র পাঁচশো টাকার জন্য রাগের বশে সে বন্ধুকে খুন করেছে। যদিও মঙ্গলের দিদি দেবিকা লোহারের অভিযোগ, ‘‘পরিবারে ভাই একমাত্র উপার্জন করত। চার বছরের একটি ছেলে আছে ওর। পরিকল্পনা করেই ওকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশকে তা জানিয়েছি।’’
তদন্তকারীরা জানান, প্রণবের ফোন খারাপ হওয়ায় খুজুটিপাড়ায় একটি মোবাইল সারানোর দোকানে সেটি দিয়েছিল। মোবাইল ঠিক হলেও তা নেওয়ার টাকা ছিল না বলে মঙ্গলকেই তিন হাজার টাকা দিয়ে ফোনটি দোকান থেকে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল সে। মঙ্গল কথামতো নিজেই টাকা দিয়ে ফোনটি দোকান থেকে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রণব মঙ্গলকে আড়াই হাজার টাকা দেয় ও সেই টাকার কিছুটা দিয়ে মদ ও খাবার কিনে ছাতিনগ্রামের বাঁকডাঙা পীরের মাজার সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে বসে তারা। রাত পর্যন্ত সেখানে নেশা করার পরে প্রণব মোবাইল ফেরত চায় ও বাকি পাঁচশো টাকা পরে দেবে বলে। পুলিশ জানায়, এ নিয়ে দু’জনের বচসা বাধলে পড়ে থাকা একটি গাছের ডাল দিয়ে মঙ্গলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারে প্রণব। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মঙ্গলের। সেই রাতে মৃতদেহটি পাতা ঢাকা দিয়ে বাড়ি চলে যায় সে।
বুধবার রাতেই নিখোঁজের ডায়েরি হওয়ার পরে পুলিশ মঙ্গলের বেশ কয়েক জন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রণবের কথা এবং মঙ্গলবার এক সঙ্গে দু’জনকে দেখা গিয়েছিল বলেও জানতে পারে। এর পরেই পুলিশ প্রণবকে প্রথমে আটক করে জেরা করে ও পরে গ্রেফতার করে।খুজুটিপাড়ার ওই মোবাইল সারানোর দোকানেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী চুমকি লোহার বলেন, ‘‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।’’ এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy