পথ আটকে: বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষার ফল নিয়ে অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন কলেজের কয়েকশো পড়ুয়া বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষার খাতা ঠিক করে দেখা হয়নি। অধিকাংশ পড়ুয়াকে ফেল করানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ ও দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তবে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে যানজটে নাকাল হয়েছেন প্রচুর যাত্রী।
এ দিনের বিক্ষোভ হয়েছে ‘বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিটি’ নামে একটি সংগঠনের তরফে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রজত পাণ্ডা, ফরমান আলি ও মুর্শিদ মিদ্যা দাবি করেছেন, তাঁরা অরাজনৈতিক ভাবে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। তাঁরা জানান, জুলাইয়ের শেষে জেলার কলেজগুলির তৃতীয় সিমেস্টার ও অগস্টের প্রথম সপ্তাহে পঞ্চম সিমেস্টারের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফরমান বলেন, ‘‘পরীক্ষায় বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই ফেল করেছেন। বহু মেধাবী পড়ুয়ার নামও ফেলের তালিকায় এসেছে।’’
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিলেও, তাঁদের অনুপস্থিত বলে দেখানো হয়েছে। রজত বলেন, “রেজাল্টের এমন অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, পরীক্ষার খাতা দেখার নামে প্রহসন হয়েছে। ভাল ভাবে খাতা দেখা হলে এমন রেজাল্ট হত না।’’ ফের নতুন করে রেজাল্ট প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পঞ্চম সিমেস্টারে অনার্স কোর্সগুলির পরীক্ষার্থীদের প্রায় ৮৫ শতাংশ পাশ করেছেন। তৃতীয় সিমেস্টারের পাশ করেছেন অনার্স কোর্সগুলির প্রায় ৭০ শতাংশ পরীক্ষার্থী। প্রোগ্রাম বিভাগে (পাস কোর্স) পঞ্চম সিমেস্টারে প্রায় ৫৬ শতাংশ ও তৃতীয় সিমেস্টারে ৪২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। উপাচার্য বলেন, “পাসের গড় স্বাভাবিকই রয়েছে। তার পরেও কেন এমন অভিযোগ উঠছে, তা বুঝতে পারছি না। ই-মেলের মাধ্যমে পড়ুয়ারা তাঁদের দাবিপত্র পাঠিয়েছেন। সেটি খতিয়ে দেখা হবে।”
এ দিকে, জাতীয় সড়কে দীর্ঘ পথ অবরোধের জেরে এ দিন নাকাল হয়েছেন প্রচুর যাত্রী। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। কিছু ছোট গাড়ি, মোটরবাইক ও সাইকেল ঘুরপথে অবরোধস্থল পার হয়েছে। বিকেল ৪টেয় অবরোধ উঠলেও ৩টের পর থেকেই কিছু গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছিল। এ দিন গাড়ি নিয়ে রানিগঞ্জ থেকে আসার পথে অবরোধে আটকে পড়েন বাঁকুড়া শহরের পোয়াবাগানের অমিয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “প্রথমে ঘণ্টা খানেক আটকে থাকি অবরোধে। পরে বাধ্য হয়ে জঙ্গলের ঘুরপথ ধরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছই। খুবই সমস্যায় পড়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy