E-Paper

হকাররাই সরাচ্ছেন দোকান

৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা দখল করে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা করছেন অন্তত জনা পঞ্চাশেক ব্যবসায়ী।

রাস্তার পাশের দোকান সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

রাস্তার পাশের দোকান সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১০:০৫
Share
Save

রাস্তার উপরে থাকা দোকান সরানোর কাজে হাত দিল রঘুনাথপুর পুরসভা। শনিবার থেকে ব্যবসায়ীদের একাংশও নিজেরা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজারে রাস্তার উপরে থাকা দোকানগুলি সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। পুরপ্রধান তরণী বাউরির দাবি, গোটা প্রক্রিয়াই হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। তবে এ দিন সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত দোকান সরে যাবে বলে পুরসভা দাবি করলেও সব দোকানসরিয়ে নেওয়া হয়নি।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা দখল করে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা করছেন অন্তত জনা পঞ্চাশেক ব্যবসায়ী। এই অভিযোগ বহু দিনের। ক্রমে ক্রমে দোকানগুলি উঠে এসেছে রাস্তার অনেকটা অংশেই। তার জেরে এলাকা এতই ঘিঞ্জি হয়ে পড়েছে যে রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের গাড়ি ঢোকাইদুষ্কর হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসে রঘুনাথপুর পুরসভা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই রাস্তা দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেই মাইকে ঘোষণা করে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ওই সব দোকানদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুরসভা।

এ দিন দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দোকান নিজেরাই সরিয়ে নিতে উদ্যোগী নিয়েছেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। তবে বেশির ভাগ দোকানই পুরোদমে চলছে। কাপড়ের দোকান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এক ব্যবসায়ী মিলন রজক বলেন,”পুরসভা দোকান সরাতে নির্দেশ দিয়েছে। তাই আপাতত দোকান সরিয়ে নিচ্ছি। তবে পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা পুরসভা করেনি।” এক জুতোর দোকানের মালিক সহদেব বাউরি বলেন,”পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে ব্যবসা। আগে বাবা দোকান চালাতেন। পুরসভা দোকান সরিয়ে নিতে বলেছে। কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে এ ভাবে দোকান সরানো হলে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।”

তবে ঘটনা হল, দোকান সরানোর নির্দেশ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অনেকের দাবি, পুরসভা জানিয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ হবে। তাই আপাতত দোকান সরিয়ে নিতে হবে। রাস্তার কাজ শেষ হলেই আবার সেখানেই বসবেন তাঁরা। পুরপ্রধানের তবে দাবি,”এ ধরনের কোনও কিছু ব্যবসায়ীদের জানানো হয়নি। তাঁদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাস্তা দখল করে ও নর্দমার উপরে বসা চলবে না।”

তবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ কতটা যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেসের সভাপতি তারকনাথ পরামানিক বলেন, ”দীর্ঘ সময় ধরে নতুন বাজারে ব্যবসা করেছেন ওই ব্যবসায়ীরা। দোকানের ভরসাতেই সংসার চালান তাঁরা। কিন্তু পুরসভা কোনও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। এটা অমানবিক।” পুরপ্রধান তরণীর অবশ্য দাবি,”ব্যবসায়ীরাই তাঁদের জানিয়েছেন পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে স্টেট ব্যাঙ্কের অদূরে জামসোলে ফাঁকা জায়গায় তাঁরা দোকান করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রাস্তা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। পুরসভা পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Raghunathpur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।