—প্রতীকী চিত্র।
বিদ্যুৎ খরচ কমাতে প্রায় প্রতি ছোট-বড় স্টেশনে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ‘ইউনিট’ তৈরির কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন। আদ্রা রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরো ডিভিশনে মোট ৯৮টি ইউনিট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চল্লিশটির বেশি ইউনিট থেকে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনও শুরু হয়েছে।
আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, “বিদ্যুৎ খরচ কমাতে চাইছে রেল মন্ত্রক। বিকল্প শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নির্দেশ রয়েছে মন্ত্রকের। সেই মতো গোটা ডিভিশন জুড়ে প্রায় সব স্টেশনেই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে।” রেল সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বর্ষের মধ্যে ৯৮টি স্টেশনেই ইউনিট তৈরির কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মোট ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনিটগুলি তৈরি করা হচ্ছে।
ঘটনা হল, সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকেই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ কেনে রেল। এ ছাড়া, প্রয়োজনে পাওয়ার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া হয়। ট্রেন চালানো-সহ অফিস, আবাসনে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভাল অঙ্কের টাকা খরচ হয় রেলের। মূলত সেই খরচে রাশ টানতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে সৌরবিদ্যুতের ইউনিট থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ মূলত স্টেশন ও লাগোয়া রেলের অফিসে ব্যবহার করা হবে।
রেল সূত্রে খবর, ৯৮টি সৌরবিদ্যুতের ইউনিট থেকে মোট ৫.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আদ্রা ডিভিশনের একাংশ পড়ে পড়শি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মধ্যে। এ রাজ্যের মধ্যে থাকা স্টেশনগুলির ইউনিট থেকে ৩ মেগাওয়াট ও ঝাড়খণ্ডের স্টেশনগুলির ইউনিট থেকে বাকি আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ইউনিটগুলি থেকে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হলে আদ্রা ডিভিশনের দৈনিক ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে।
রেলের এক আধিকারিক জানান, মূলত স্টেশনগুলিতে চাহিদার বিদ্যুতের সবটাই যদি রেল উৎপাদন করে, তা হলে বিশাল অঙ্কের সাশ্রয় হবে। স্টেশনে দিনরাত প্রচুর আলো জ্বলে, পাখা ঘোরে। এ ছাড়া, ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকা অফিসগুলিতেও ২৪ ঘণ্টাই আলো, ফ্যান চলে। স্টেশন ও অফিসগুলিতে বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয় করাই এইপ্রকল্পের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy